ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামিদের বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। বৃহস্পতিবার মামলার হাজিরা দিতে পুলিশি হেফাজতে তাদেরকে তোলা হয় আদালতে। তবে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার পরেও এতটুকু দমে যাননি আসামিরা। আদালত চত্বরেই মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনকে হুমকি দিয়েছেন তারা।
এছাড়া, আদালত চত্বরে পুলিশের সামনেই আইনজীবী ও স্থানীয় পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে তাদের।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে এ হত্যা মামলার শুনানির আগ মুহূর্তে তারা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামকে দেখে তার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় নুসরাত হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৬ আাসামিসহ গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জনই মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে ষড়যন্ত্রকারী আখ্যায়িত করে অ্যাডভোকেট খোকনকে গালিগালাজ করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন আইনজীবিসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসামিরা আদালতকক্ষে প্রবেশের সময় প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা খোকনকে দেখে ‘দালাল, দালাল’ বলে চিৎকার করতে শুরু করে। পরে কোর্ট পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা চুপসে যায়। তবে আদালতকক্ষে প্রবেশের পর আরেক দফা আসামিরা ‘ধর ধর’ বলে খোকনের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
পরিস্থিতি বেসামাল হতে শুরু করলে আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ আদালত কক্ষ থেকে বহিরাগতদের বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে বিচারকার্য শুরু হয়।
এদিন নুসরাত হত্যা মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।
নিহত নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলার আসামি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আদালতে প্রশাসনের সামনে আমাকে, আমার পরিবার ও আমার আইনজীবীকে নানা হুমকি দিয়ে গালমন্দ করে।’
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, নুসরাতের হত্যাকারীদের হুমকিতে শংকিত নই। প্রয়োজনে মরতে রাজি আছি, তবু হত্যাকারীদের সঙ্গে আপোষ করবো না।
তবে পাল্টা অভিযোগ করে সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর নবী লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, অ্যাডভোকেট খোকন নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মূল উস্কানিদাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তিনি ও তার সহযোগীরা নিজেদেরকে আড়াল করে দলীয় প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়েছেন। ফলে অনেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply