নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিজের বড় ভায়ের বন্ধুদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী।গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নদোনা ইউনিয়নের হাটগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করলে পুলিশ রাতেই মামলার ১নং আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে। এরপর গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) অভিযুক্ত আলমগীর নোয়াখালী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সাইদীন নাহি তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জানা গেছে, উপজেলার নদোনা ইউনিয়নের হাটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন একাডেমির ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৬) শনিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এ সময় ওত পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ির ছিদ্দিক উল্ল্যার পুত্র আলমগীর ও পাচঁবাড়িয়া গ্রামের মান্নান মাষ্টারের ছেলে রাসেল তাঁর মুখ চেপে ধরে বাড়ির পেছনের ধানখেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ঐ ছাত্রীর মা তাকে খুঁজে না পেয়ে বাড়ির পিছনের জমিতে বিবস্ত্র এবং রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ভিকটিমের মা পেয়ারা বেগম জানান, আমার বড় ছেলের সাথে আলমগীর হোসেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এ সুবাধে সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার ১নং আসামি ধর্ষক আলমগীরেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি রাসেলকে ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি আরও জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আমরা তাঁর চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। রবিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেরশ্বর ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননী তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করে রাতভর গণধর্ষন করে ৪ যুবক। এ ঘটনার পর ওই নারী মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ওই ঘটনার মামলায় ৪ আসামির মধ্যে স্থানীয় জনতা ২ লম্পটকে ধরে পুলিশে দিলেও বাকি ২ আসামিকে ২০ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply