কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষার খাতা জালিয়াতির চক্রের মুল হোতা মাহমুদুল নবী মিলন (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ। এসময় কারিগরি বোর্ডের বিপুল পরিমান খাতা, প্রতিষ্ঠানের সীল, শিক্ষার্থীদের এডমিন কার্ড জব্দ করা হয়। বুধবার সকালে শহরের বলারিপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। শিক্ষক মিলন নাটোর শহরের বঙ্গজ্বল এলাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে শিক্ষক এবং মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। টাকার বিনিময়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ন করে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতো শিক্ষক মিলন এমনটিই নিশ্চিত হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোর্তুজা খান এর নেতৃত্বে বুধবার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকায় শিক্ষক মাহামুদুল নবী মিলনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই বাড়ি থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিপুল পরিমান খাতা উদ্ধার করা হয়।
এসময় শিক্ষক মিলন স্বীকার করেন, কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষার খাতা থেকে টপ শিট পরিবর্তন করে ফাঁকা খাতায় উত্তর লিখে আবার টপ শিট লাগিয়ে অভিনব ভাবে জালিয়াতি করে আসছিলেন তিনি।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট সাইন্স এন্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল জানান, নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে মিলনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোর্ত্তুজা খান বলেন, শিক্ষক মিলন কারিগরি বোর্ডের খাতা জালিয়াতি করে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো। প্রতিটি বিষয়ে ৫ থেকে ৬হাজার টাকার বিনিময়ে সে এই অনৈতিক কাজ করে আসছিল।
মোর্ত্তুজা খান বলেন, বুধবার কারিগরি বোর্ডের কম্পিউটার বিষয়ের সি প্রোগ্রামিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিষয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে সে উত্তীর্ন করিয়ে দেওয়ার নাম করে সে টাকা হাতিয়ে নেয়। পরীক্ষার দিন সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর জব্দ করা হয়। টাকার বিনিময়ে দীর্ঘ দিন ধরে সে এই কাজ করে আসছিলো। এছাড়া জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নাটোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এবিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার খাতা জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা কে আটক করা হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমান পরীক্ষার খাতা, প্রতিষ্ঠানের সীল জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। এই চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply