ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ মর্যাদা প্রদানের জন্য সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি বাতিল ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে কংগ্রেসসহ সকল বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় কাশ্মীর সংক্রান্ত বিলটি পাস করাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র সরকার। যদিও এই ইস্যুতে রাজ্যসভার পরে এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লোকসভাও। যার অংশ হিসেবে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ হতেই তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূলসহ বেশ কিছু দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে শুরুতেই কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে তুমুল বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত এর পরপরই আরেক কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও এই বিতণ্ডায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ‘কংগ্রেস আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক যে- তারা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বহাল থাকার পক্ষে না বিপক্ষে?’ চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার ভঙ্গিতে মণীশকে বললেন অমিত শাহ। মূলত এর পরপরই দুদেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা ও পরিত্যক্ত অঞ্চলের বিষয়ে কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাবে আরও আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেন বিজেপির এ সভাপতি। অমিত শাহ বলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আমাদের আর আকসাই চীনও আমাদের।’
এর আগে দিনের শুরুতে লোকসভায় পেশ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি বিল। মূলত এর পরই শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসের দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী লোকসভার ভাষণে বলেন, ‘নিয়ম ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা হয়েছে। সিমলা ও লাহৌর চুক্তি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়? কেননা ওই দুই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক ছিল। এবার অঞ্চলটিকে একটি কয়েদখানায় পরিণত করা হয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘সংবিধানে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া রাজ্যটির সংবিধানেও এই একই কথার বলা আছে। আর তাই সেখানে আইন প্রণয়নে আমাদের কোনো বাধা নেই। জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরও রয়েছে। আকসাই চীনও ভারতের অংশ।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply