আমরা মুসলমান!! তাই মুসলমানের প্রতিটি কাজ নেকির হওয়া চাই।
অমরা যদি আমাদের কাজ সমুহকে আমাদের প্রিয় নবি [ﷺ] এর কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে করি তাহলে সেই কাজ আমাদের সুন্নাতে পরিণত হবে। আর সুন্নাতে নববীর ওপর আমল হলে তার অসংখ্য সাওয়াবও আমাদের অর্জিত হবে।
পানি পান করারও কিছু সুন্নাত এবং আদব আছে!!! পানি বসে, দেখে, বিসমিল্লাহ পাঠ করে এভাবে পান করুন যে প্রত্যেকবার গ্লাস থেকে মুখ সরিয়ে শ্বাস নিন, প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার এক এক ঢোক পান করুন এবং তৃতীয়বার যতটুকু ইচ্ছা পানি পান করুন।
(১) পানি বসে পান করুন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসٰ رضی اللہ تعالیٰ عنہ থেকে বর্ণিত আছে; রাসুলুল্লাহ [ﷺ] ইরশাদ করেন: “তোমরা উটের ন্যায় এক চুমুকে পানি পান করোনা বরং দু’তিন চুমুকে পানি পান করো এবং যখন পান করতে যাবে বিসমিল্লাহ পাঠ করো এবং পান করার পর আলহামদুলিল্লাহ বলো”।(সুনানে তিরমিযী,২য় খন্ড,৩৫২ পৃষ্ঠা,হাদিস নং-১৮৯২)
হযরত আনাস رضی اللہ تعالیٰ عنہ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ [ﷺ] “দাঁড়িয়ে পানি পান করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন”। (সহিহ মুসলিম,৩য় খন্ড,১১১৯ পৃষ্ঠা,হাদিস নং-২০২৪)
(২) পানি আলোতে দেখে পান করুন। কেননা পানির পাত্রে অনেক সময় ময়লা অথবা পোকা-মাকড় থাকতে পারে।
(৩) ডান হাতে পানি পান করুন। কেননা “রাসুলুল্লাহ [ﷺ] সব সময় যে কোন কাজ ডান দিক হতে শুরু করতেন”।
(৪) পানি পান করার পূর্বে “বিসমিল্লাহ” পাঠ করে নিন।
(৫) পানি তিন নিশ্বাসে পান করুন। হযরত আনাস رضی اللہ تعالیٰ عنہথেকে বর্ণিত; “নবি করিম [ﷺ] পানি পান করার ক্ষেত্রে তিনবার করে শ্বাস নিতেন এবং তিনি ইরশাদ করতেন: এভাবে পান করার মধ্যে অধিক সতেজতা ও শরীরের জন্য বেশি উপকারীতা রয়েছে।” (সহিহ মুসলিম,১১২০পৃষ্ঠা,হাদিস নং-২০২৮)
হযরত ইবনে আব্বাসرضی اللہ تعالیٰ عنہ থেকে বর্ণিত, “আল্লাহ তাআলার প্রিয় রাসুল [ﷺ] পানাহারে পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং ফুঁক দিতে নিষেধ করেছেন।”(সুনানে আবু দাউদ,৩য় খন্ড,৪৭৫ পৃষ্ঠা,হাদিস নং-৩৭২৮)
(৬) এবং পানি পান করার পর “আলহামদুলিল্লাহ” পড়ুন।
★আসুন সকলেই নিয়ত করি পানি পান করার সময় রাসুলুল্লাহ [ﷺ] এর সুন্নাতের প্রতি নযর রাখবো। ان شاء الله
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মুহাম্মাদ শাহিদ ইমাম
Leave a Reply