পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের তিন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এই আদেশ কার্যকর করা হয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ ইমিগ্রেশনের ক্যাশিয়ার রুহুল আমিনকে হুন্ডির ১২ লাখ টাকাসহ আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল এসকে আযম, কনস্টেবল রুমা বেপারী ও কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস।
পুলিশ জানায়, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশে কর্মরত এনজিও সদস্য হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন, তিন পুলিশ সদস্য পাসপোর্ট ছাড়া মৌখিকভাবে বিজিবি ও বিএসএফকে জানিয়ে কেনাকাটার নাম করে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় কনেস্টেবল আযম সাদা পোশাক এবং অন্য দুই পুলিশ সদস্য সরকারি পোশাক পরা ছিলেন।
আধাঘণ্টা পর হুন্ডির ১২ লাখ টাকা নিয়ে তারা চারজন ফেরার সময় গোপন সংবাদে ভারতের পেট্রাপোল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে রুহুল আমিনের ব্যাগে থাকা ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ।
তিন পুলিশ সদস্য আটকের খবর পেয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তাদের ছাড়াতে দেন দরবার শুরু হয়। এক পর্যায়ে সমঝোতায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশারের কাছে বিএসএফ সদস্যরা আটক তিন পুলিশ সদস্যকে তুলে দেন। অপর ইমিগ্রেশনের এনজিও সদস্য রুহুলকে টাকাসহ আটকে রাখে।
বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার বাকিবিল্লা জানান, পুলিশ সদস্যরা কেনাকাটার নাম করে ভারতে যান। তারা ফিরে আসার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে। পরে তাদের ব্যাগ থেকে হুন্ডির ১২ লাখ টাকা সহ রাহুল নামে পুলিশের এনজিও সদস্যকে আটক করে তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, যার কাছে হুন্ডির ১২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে তাকে বিএসএফ আটকে রেখেছে। আমার পুলিশ সদস্যদের কাছে কিছু না পাওয়ায় তারা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে অফিসকে না জানিয়ে ভারতে যাওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের নির্দেশ এসেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply