কিছুদিন আগে প্রকাশিত হলো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এই পরীক্ষার ফল চ্যালেঞ্জ করায়, দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৮ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান ফল পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন করে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। পাশাপাশি ফেল থেকে পাসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও রয়েছে। বোর্ডগুলোর প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছর ৮টি শিক্ষা বোর্ডে প্রায় ৩২৯১ জন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর পরিবর্তন হয়েছে।
এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৭৭৮ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৬ জন। বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাতা দেখা শিক্ষকদের অনীহা, অবহেলার কারণে প্রতি বছর খাতা চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় খাতা চ্যালেঞ্জ করার পরিমাণ বাড়ালেও এবার ফল পরিবর্তনের সংখ্যা কমেছে। এবার মডেল পদ্ধতিতে খাতা দেখায় ভুলের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে আসছে বলে জানান বোর্ড কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, পুনঃনিরীক্ষণে সাধারণত মোট ৪টি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কিনা।
এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়া হয়েছে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তার মানে কোনো শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন হয় না। ফল পরিবর্তন হয়েছে ৭২ জন পরীক্ষার্থীর এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৯ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষকদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবো। বোর্ড থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়নে উদাসীন শিক্ষকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষকদের মধ্যে খাতা দেখার আগ্রহ ও পদ্ধতি দুটি পরিবর্তন হয়েছে। গত দুই বছর ধরে মডেল পদ্ধতিতে খাতা দেখা এবং পরীক্ষকদের খাতা প্রধান পরীক্ষকরা পুনরায় দেখার বাধ্যবাধকতা কারণে খাতায় ভুলের পরিমাণ কমেছে।
এর কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফল পরিবর্তনের সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, খাতায় যে চারটি ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবার সেই জায়গায় হাত দেয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে খাতা দেখায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করেন তিনি।
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব ফেলে। সেখানে শিক্ষকদের এমন উদাসীনতা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষকদের উচিৎ একটু দায়িত্বশীল হয়ে এইসব গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গুলো নিরীক্ষণ করা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply