ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে সামনের বছরের জুনে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এখন চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর। অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজই ঘরের মাঠে মাশরাফির শেষ সিরিজ। তিন ম্যাচ ওয়ানডের শেষটি হতে পারে ঘরের মাঠে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এত চোট আর ঝড় উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যিনি ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে, ঘরের মাঠে তাঁর সম্ভাব্য শেষ সিরিজ নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠার কথা। কিন্তু মাশরাফির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সেই আলোচনা তথা ক্রিকেটের আলোচনাকে কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
তবে ওয়ানডে অধিনায়ক আশ্বস্ত করলেন, মনোযোগটা এখনো ক্রিকেট থেকে সরেনি, ‘আমার দিক থেকে একদমই না। আমার মানসিক দিক দিয়ে একদমই না। কারণ আমি ওইখানে (নির্বাচনী এলাকা) এখনো একদমই জড়িত না। পুরোপুরি অনুশীলনে মন আছে। আমি ওখানে মনোযোগ দেব ১৪ ডিসেম্বরের পর (সিরিজ শেষে)। যতটুকু করার ১৪ তারিখের পরে গিয়েই করব। তত দিন পর্যন্ত আমার পুরো মনোযোগ থাকবে খেলায়।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হবে ১৪ ডিসেম্বর।
ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর সামনের বিশ্বকাপেই সেরা সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে দলটা এখন মোটামুটি দাঁড়ানো আর তার পেছনে রয়েছে পাঁচটি স্তম্ভ—মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। পরের বিশ্বকাপে এঁদের অনেকেই ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে চলে যাবেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সোনালি প্রজন্মের এটাই সেরা সময়ের শেষ বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ওয়ানডে অধিনায়ক যদি ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনীতিতে, সেটি দলের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ক্ষতিকর বলেও একটা আলোচনা শুরু হয়েছে।
মাশরাফি অবশ্য মনে করেন, নির্বাচনটা মাঝপথে পড়ে গেছে বলেই এমনটা মনে হচ্ছে, ‘আমি বিশ্বকাপ ধরে পরিকল্পনা করছিলাম। আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের সাড়ে চার বছরে আমি জানি না আমার অবস্থা কী হবে। একটা সুযোগ এসেছে মানুষের জন্য কাজ করার। যেটা আমি সব সময়ই উপভোগ করি। আমি একটা ফাউন্ডেশনও করেছিলাম। আমার জন্য একটা সুযোগ এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে সুযোগটা দিয়েছেন, আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আমার মনে হয়েছে এটা আমার জন্য বড় সুযোগ তাদের জন্য কাজ করার। সাত মাস বা আট মাস পর তো আর জাতীয় নির্বাচন হবে না। তাই মনে হয়েছে এই সুযোগটা নেওয়া উচিত।’
কেবল খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, দেশের জনগন আরও কিছু আশা করে মাশরাফির কাছ থেকে। সেই আশা পূর্ণ করতেই তিনি নির্বাচনে এসেছেন। আমাদের উচিৎ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন দেয়া।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply