অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন, ‘পৃথিবীতে আইন অমান্যকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। সেটি যে কোনো ক্ষেত্রেই হোক। অথচ আমাদের দেশের মানুষ বিদেশে গেলে ঠিকই আইন মেনে চলছেন। এ জন্য চাই সচেতনতা এবং আইন মানার প্রবণতা বাড়ানো। এগুলো করতে পারলে একসময় সড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’ গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ই-সোসাইটি শিখন কার্যক্রম ও নিরাপদ সড়ক সচেতনতা’ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কোম্পানিভিত্তিক বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিভিত্তিক বাস নামাতে পারলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। বিষয়টি সরকারপ্রধানকেও একাধিকবার বলেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু কেন যে হচ্ছে না তা জানি না। তবে আজকের এই প্ল্যাটফর্ম সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখান থেকে চালক, পথচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই শিক্ষা নিতে পারবে।’
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে এই দুর্ঘটনা কেন? আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইন মানার প্রবণতা নেই। এখানে যারা আইন প্রয়োগ করবেন তাদের মধ্যেও দেখা যায় আইন অমান্য করার প্রবণতা কাজ করে। এ ছাড়া বড় রাজনৈতিক নেতা-আমলারাও আইন মানতে অনীহা প্রকাশ করেন।
অনেক সময় দেখা যায় সঠিক লেনে গাড়ি না চালিয়ে উল্টো লেনে ভিআইপিরা চলছেন। এতে ট্রাফিক পুলিশেরও সায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, অনলাইনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণ দিতে চালু হয়েছে ই-সোসাইটি। এটি একটি সচেতনতা ও শিক্ষামূলক ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা ই-লার্নিং, ই-মেন্টরিং এবং ই-অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক আচরণগত পরিবর্তন করবে।’ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধিতে ই-সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই কোর্সের মাধ্যমে আমাদের সব বয়সী মানুষ সচেতন হয়ে উঠবে আশা করি।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিনেট-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন ড. অনন্য রায়হান। ই-সোসাইটিতে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক ই-পাঠ্যক্রম পাওয়া যাবে। ই-পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত ও বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ করতে পারবে। এই মতামত কাঙ্ক্ষিত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি যুক্তিযুক্ত আলোচনা, চিন্তাগত ভ্রান্তি দূরীকরণেও সহায়ক হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply