পেঁয়াজ প্রাচীনকাল থেকেই রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। আমিষ রান্নায় পেঁয়াজ তো লাগেই কাঁচা পেঁয়াজ ও চপ কাটলেট ইত্যাদির সঙ্গে থেতে ভাল লাগে। পেঁয়াজ স্যালাড হিসেবেও খাওয়া হয়। পেঁয়াজকে বলা হয় গরিবদের কস্তরী। বিশেষত শীতকালে পেঁয়াজ যদি ঘিয়ে ভেজে খাওয়া যায় তাহলে শরীর পুষ্টি লাভ করে। কাঁচা পেঁয়াজের স্যালাড বর্ষাকালেও খাওয়া ভাল এতে মন্দাগ্নি দূর হয় ও খিদে বাড়ে।
রোগ সারাতে পেঁয়াজের প্রয়োগ:
পেঁয়াজের গুণাবলীর কথা আগেই বলা হয়েছে, এবারে কোন রোগে কিভাবে পেঁয়াজ প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে তা আর একবার সংক্ষেপে বলা যাক। এই ভাবে পেঁয়াজ খেলে বা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে অনেক রোগের হাত থেকেই নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে।
১। মাথার চুল পড়ে গেলে, চুলের বৃদ্ধি কমে গেলে বা অল্প বয়সে চল পেকে গেলে : পেঁয়াজের রসে মধু মিশিয়ে মাথায় মালিশ করুন।
২। মাথা ধরলে : পেঁয়াজ থেঁতো করে কপালে লাগাবেন বা থেঁতো করা পেঁয়াজ খাবেন।
৩। কানে ব্যথা হলে : পেঁয়াজের রস গরম করে কানে দু-তিন ফোঁটা ফেলুন।
৪। জ্বর ও হাঁপানিতে : পেঁয়াজের রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে। কালাজ্বরের ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস খুবই কাজ দেয়।
৫। স্নায়ুর রোগে অর্থাৎ স্নায়ু দৌর্বল্যে বা স্নায়ু বিকারে : পেঁয়াজ খেলে বা পেঁয়াজ শুঁকলে উপকার পাওয়া যায়।
৬। হেঁচকিতে : পেঁয়াজের রসের ফোঁটা নাকে দিলে উপকার পাবেন।
৭। মেয়েদের মূর্চ্ছা বা হিস্টিরিয়ায় : পেঁয়াজের রস শুঁকিয়ে দিলে সুফল পাওয়া যায়।
৮। ঘুম না হলে : রাত্তিরে নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে হবে।
৯। কিডনির অসুখ ও উদরীতে পেটে জল ভরে যাওয়া : পেঁয়াজ খেলে রোগের প্রকোপ কমে।
১০। অর্শ রোগে : পেঁয়াজ কুচিয়ে টক দই মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১১। অজীর্ণ অর্থাৎ ডিসপেপসিয়ায় : প্রতিদিন নিয়মিত অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ খেলে খিদে বাড়ে, পাকাশয়ের সর্দিও বায়ু পাকস্থলী সবল হয়।
১২। বাত ; পেঁয়াজ বাতের পক্ষে খুবই ভাল। নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথা কমে যায়। এ ছাড়া আগেই বলা হয়েছে পেঁয়াজ মধুর সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে প্রলেপ লাগালে গেঁটে বাত অর্থাৎ অস্থি-সন্ধিস্থলের বাত ও ফোলা কমে যায়।
১৩। ঢিউমার, গ্লান্ডের জ্বালা বা গ্লান্ড ফোলায় : পেঁয়াজ ভেজে মধুর সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
১৪। বিছে, বোলাতা ও মৌমাছির কামড়ে : পেঁয়াজ ছেঁচে প্রলেপ লাগালে জ্বালা কমে।
পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধ :
পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং অন্য লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেইজন্যে অস্বস্তি লাগে। পেঁয়াজের তরকারি বা কাঁচা পেঁয়াজের স্যালাড খাওয়ার পর যদি একটু গুড় বা একটু ধনের চাল খাওয়া যায় তাহলে এই দুর্গন্ধ দূর হবে।
পেঁয়াজরে স্যালাড বা কচুমর :
প্রতিদিন যদি পেঁয়াজ অল্প তেলে সাঁতলে নিয়ে আন্দাজ মতো নুন, কাঁচা লন্কা ও কুচোনো ধনে পাতা দিয়ে ভাত বা রুটির সঙ্গে যদি খাওয়া যায় তাহলে আহার ও ওষুধ দুই হবে। অর্থাৎ খেতে ও ভাল লাগবে, শরীর ও ভাল থাকবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply