শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা-এই তিন ঋতুতেই নানা পোকামাকড়ের কারণে আমাদের ভুগতে হয়। মশার কারণে জ্বর, এছাড়া বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে আমাদের আরও নানা রোগ হয়। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মশা এবং পোকামাকড় তাড়াতে আমরা কয়েলসহ বিভিন্ন ধরণের স্প্রে ব্যবহার করে থাকি। এগুলোও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ক্ষতি এড়িয়ে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে বাড়িতেই লাগিয়ে নিন কিছু গাছ। এসব গাছ শুধু পোকামাকড় ও মশা তাড়াতেই ভূমিকা রাখবে না, একইসঙ্গে আপনার পরিবারের সুস্থতাও নিশ্চিত করবে।
যেসব গাছ লাগাবেন-
গাঁদা ফুলের গাছ:
ঘর সাজাতে গাঁদা ফুলের জুড়ি মেলা ভার। শুধু ঘর সাজানো নয়, আরও বিভিন্ন কাজেই ব্যবহার করা হয় এই গাঁদা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গাঁদা ফুল শুধু সৌন্দর্যের কারণেই ব্যবহার করা হয় না, এ ফুল গাছেরও অনেক উপকারিতা আছে। এই গাছে এমন কিছু উপাদান থাকে, যার ফলে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় ঘেঁষতে পারে না। তাই বাড়ি থেকে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় দূর করতে অবশ্যই গাঁদা গাছ লাগান।
তুলসী:
তুলসী গাছ ও এর পাতায় এক ধরনের তেল উত্পন্ন হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে মশা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বাড়ির আশপাশে যদি তুলসী গাছ থাকে, তাহলে মশা বংশবিস্তার করতে পারে না। কাজেই মশার তাড়াতে বাড়ির বারান্দায় এ গাছটি সহজেই লাগাতে পারেন।
পুদিনা:
চায়ের স্বাদ বাড়াতে সারা বিশ্বে পুদিনা অনন্য এক উপাদান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া বিভিন্ন রান্নায় গন্ধ যোগ করতে ও কার্যকর মাউথফ্রেশনার হিসেবেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। কাজেই ছাদে বা বারান্দায় অন্যান্য গাছের সঙ্গে কয়েকটি পাত্রে পুদিনা গাছ লাগান। পুদিনা পাতা প্রাকৃতিকভাবে মশা তাড়ায়। খুব একটা যত্ন নিতে হয় না। দ্রুত বেড়ে ওঠে বলে সবুজবান্ধব উপায়ে মশা তাড়াতে লাগাতে পারেন পুদিনা।
লবঙ্গ গাছ:
বাড়ির সামনে যদি বাগান বা গাছ-গাছালিপূর্ণ বেশ বড়সড় জায়গা থাকে, তাহলে প্রিয় ফল ও ফুলগাছের সঙ্গে একটি লবঙ্গ গাছও লাগিয়ে নিন। প্রাকৃতিকভাবে লবঙ্গ গাছ মশা প্রতিরোধ করে।
ইউক্যালিপটাস:
ইউক্যালিপটাসের তেল মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় তাড়াতে শক্তিশালী উপাদান। যেখানে ইউক্যালিপটাস গাছ থাকে, সেখানে মশার উপদ্রব কম থাকে। আবার এর তেল ত্বকের জন্যও উপকারী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ /-এস এস
Leave a Reply