২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও প্রাথমিক ইবতেদায়ি এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
এ বছর জেএসসিতে গড় পাসের হার ৮৫.৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। শতভাগ পাশের প্রতিষ্ঠান ৪,৭৬৯টি। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে পাশে হার ৮৯.০৪ শতাংশ।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোহাস্তাফিজুর রহমনা ফিজার উপস্থিত ছিলেন।
পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল আজ
সোমবার বেলা ১২টায় শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দুপুর ১টায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফলাফল বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে নিজ নিজ ফলাফল জানতে পারবেন।
স্কুল ও মাদ্রাসার এসব পরীক্ষায় এবার সাড়ে ৫২ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে-পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী), ইইসি (ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি ও জেডিসি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের কারণে এবার প্রায় এক সপ্তাহ আগে এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
এর এক ঘণ্টা পর পিইসি ও ইইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) অধীন অনুষ্ঠিত পিইসি ও ইইসি পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৫ জন অংশ নেয়। অন্যদিকে ৯ শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪১ শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন-চার পরীক্ষারই ফল প্রকাশের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন।
গত ১ নভেম্বর শুরু হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ ছাড়া পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষর্থী।
পরীক্ষার ফলাফল জানতে-
যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানতে- মেসেজ ওপশানে গিয়ে DPE স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ইবতেদায়ির ফল জানতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে EBT স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (http://www.dpe.gov.bd), সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply