বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিতে ব্যাপক হারে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তাদের এই ভরাডুবি। একই আসনের জন্য সকালে একজন, দুপুরে একজন ও বিকেলে একজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তাদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের দুঃখের কথা বলেছেন। একজন তো আমাদের দলে জয়েন করলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপির যেসব প্রার্থী উইনেবল ছিল তারা কেউই মনোনয়ন পাননি। টাকা বেশি না দিতে পারায় তারা মনোনয়ন পাননি। সকালে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তার চেয়ে বেশি টাকা দেয়ার পর দুপুরে আরেকজন মনোনয়ন পান। বিকেলে তার চেয়ে বেশি টাকায় পাওয়ায় সকাল ও দুপুরের প্রার্থী মনোনয়ন থেকে আউট হয়ে যান। এভাবে যে দল মনোনয়ন দেয় তাদের জনগণ কেন ভোট দেবে?
জনগণের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আশা নিয়ে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন, যে আশা নিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছেন, আমরা তার প্রতিদান দেব, তাদের আশা পূরণ করব-ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন দেশের মানুষের জন্য কাজ করার। সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ গড়তে যেভাবে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তাতে আর ১০ বছর দেশ চালাতে পারলে এ দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতো। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা করতে দেয়নি। তারা ৭৫ এর পর ২৯ বছর দেশ চালায়। এ সময় তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। যে কারণে, তারা তখন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেয়নি। যে ভাষণ তারা বাজাতে দেয়নি সে ভাষণ আজ জাতিসংঘের ইউনেস্কোতে স্থান পেয়েছে। বিশ্বের মানুষ ৭ মার্চের ভাষণ গ্রহণ করলেও বিএনপি-জামায়াত তা পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আদর্শ হলো- দেশের মানুষের জন্য কিছু করা। দেশের মানুষকে যদি উন্নত জীবন দিতে পারি, মানুষকে যদি ভালো রাখতে পারি. এর চেয়ে স্বার্থকতা আর কী হতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply