হাদীস: হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামায আদায় করে তখন সে তার প্রভুর সাথে মুখমুখি গোপনে কথা-বার্তা বা আলাপ আলোচনা করে থাকে। সুতরাং তোমরা নামাযরত অবস্থায় ডান দিকে থু থু ফেলবে না, বরং নিজের বাম পায়ের নীচে তার থু থু ফেলবে।
দেরী করে গ্রীষ্মের দিনের নামায পড়া উত্তম:
হাদীস: হযরত আবু যর গেফারী (রা) বলেন, একবার নবী করীম (সাঃ) এর মুয়াজ্জিন হযরত বেলাল (রা) যোহরের নামাযের আযান দেয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন, এমন সময় রাসূলেপাক (সাঃ) তাকে বললেন, ‘আরবেদ’ ‘আরবেদ’ অর্থৎ অপেক্ষা কর অপেক্ষা কর।
তিনি আরো বললেন, রৌদ্রের প্রখরতা হলো জাহান্নামের গরমের তীব্রতা। সুতরাং যখন রৌদ্রের প্রখরতা দেখা দিবে, তখন নামায একটু ঠান্ডা সময় আদায় কর অর্থাৎ একটু দেরি করে পড়। আমরা যাতে পাহাড়ের ছায়া দেখতে পাই।
জাহান্নামের দু’টি নিঃশ্বাস :
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলেপাক (সাঃ) বলেছেন, যখন রৌদ্রের তীব্রতা দেখা দেয় তখন তোমরা নামায একটু দেরি করে পড়। কেননা রৌদ্রের প্রখরতা জাহান্নামের গরমের তীব্রতা স্বরূপ। রাসূলেপাক (সাঃ) আরো বলেন, এক সময় জাহান্নাম তার প্রভুর কাছে আরজ করল, হে আমার প্রভু।
আমার গরমের তীব্রতা এত বেশী মনে হচ্ছে যে, আমার এক অঙ্গ অন্য অঙ্গকে খেয়ে ফেলছে। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক বছরে তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দিলেন। একটি হলো শীতের ঋতুতে অপরটি হলো গরমের ঋতুতে। তোমরা গ্রীষ্মের সময় যে রৌদ্রের প্রখরতা দেখতে পাচ্ছ এবং শীতের সময় যে ঠান্ডার আধিক্যতা দেখতে পাচ্ছ তাই হলো জাহান্নামের কারণে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply