হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের নামাযের এক রাকাত পড়ার সময় পায় সে যেন নামায পূর্ণ করে দেয়। আবার অনুরূপভাবে ফযরের নামায সূর্য উদয়ের পূর্বে যদি এক রাকাত পড়ার সময়ও পায় তবে সে যেন তার নামায পূর্ণ করে নেয়।
উম্মতে মোহাম্মদীর নেক-আমল :
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি তার ছেলে হযরত সালেম (রা)-কে বলেছেন আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘‘হে সাহাবীগণ! তোমাদের পূর্বের উম্মতদের মধ্যে তোমাদের স্থায়ীত্বের উদাহরণ হল। যেমন- আসরের নামাযের সময় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের অনুরূপ।
আহলে তাওরাতকে মহান আল্লাহ পাক তাওরাত কিতাব দান করেছেন। অতঃপর তারা উক্ত কিতাব অনুযায়ী আমল করতে গিয়ে দুপুর বেলায় দুর্বল হয়ে পড়ল। তখন আল্লাহ পাক তাদেরকে প্রতিদিন স্বরূপ এক ক্বীরাত সাওয়াব দান করলেন। তারপর আহলে ইঞ্জিলকে আল্লাহ পাক ইঞ্জিল কিতাব দান করলেন। তারা দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত কিতাব অনুযায়ী আমল করে যখন দুর্বল হয়ে পড়ল। তখন আল্লাহ পাক তাদেরকেও এক ক্বীরাত সওয়াব দান করলেন।
তারপর আল্লাহ পাক আমাদেরকে পবিত্র কুরআন দান করলেন। আমরা উক্ত কিতাব অনুযায়ী আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল শেষ করলাম। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক খুশী হয়ে আমাদেরকে প্রতিদান স্বরূপ দু’ক্বীরাত সওয়াব দান করলেন। আমাদের এ অবস্থা দেখে পূর্বোক্ত আহলে কিতাবদ্বয় মহান আল্লাহকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ! আপনি এদেরকে দু’ক্বীরাত সওয়াব দান করলেন আর আমরা অধিক আমল করা সত্ত্বেও আমাদেরকে এক ক্বীরাত সাওয়াব দান করলেন অথচ আমরা তো সময়ের দিক থেকে এদের চেয়ে অনেক বেশী আমল করছি।
উত্তরে মহান আল্লাহ পাক বললেন, আমি কি তোমাদেরকে আমলের পরিশ্রম হতে কোন কিছু কম দিয়েছি। তখন তারা বললেন, না। আমাদেরকে কম দেয়া হয়নি। তখন আল্লাহ তা’য়ালা বললেন, তা আমার মেহেরবানী আমি যাকে ইচ্ছে তাকেই তা দান করে থাকি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply