বিভিন্ন কারণে গোসল ফরজ হয়। আর ফরজ গোসল ইসলামি জীবন বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ হলো কারো ওপর গোসল ফরজ হলে সঠিক-শুদ্ধ পদ্ধতিতে গোসল আদায় না করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাপাক থাকবেন। আর এই নাপাকি অবস্থায় তার কোনো প্রকারের ইবাদত-বন্দেগি করার অনুমতি নেই।
আর যদি করে তবে তা অকুবলনীয়। সুতরাং সঠিক-শুদ্ধভাবে আমল করার জন্য শারীরীকভাবে পবিত্র থাকার উদ্দেশ্য গোসল ফরজ হওয়ার কারণ, গোসলের ফরজ, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমল সহ ফরজ গোসল করার পদ্ধতি সবার জানা থাকা একান্ত জরুরি।
গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ হলো:-
(১)যৌন উত্তেজনার ফলে বীর্য স্বস্থান ত্যাগ করে পুরুষাঙ্গ বা যোনিপথ দিয়ে নির্গত হলে।(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী,খন্ড-১ম,পৃ-০৪)
(২)স্বপ্নদোষ হলে অর্থাৎ ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হলে।(খোলাসাতুল ফাতাওয়া,খন্ড-১ম,পৃ-১৩)
(৩)মহিলার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ তথা কর্তিত অংশ প্রবেশ করালে।কামোত্তেজনা বশত হোক বা না হোক এবং বীর্যপাত হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় উভয়ের উপর গোসল করা ফরয।(হাশিয়াতুত তাহতাবী সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ,পৃ-৯৭)
(৪)হায়েজ তথা ঋঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর।(প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা-১৭)
(৫)নিফাস তথা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে ঋঋতুস্রাব হয় তা বন্ধ হওয়ায় পর।(তাবয়ীনুল হাকায়িক,খন্ড-১ম,পৃ-১৭)
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম:-
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
মনে রাখতে হবে-
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মুহাম্মাদ শাহিদ ইমাম
Leave a Reply