জাহেদুল ইসলাম মিরাজ,বাঁশখালী(চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত বাংলাদেশর আয়তনের চেয়ে অনেক বড় ঘুর্নিঝড় ফনি অতিপ্রবল বেগে ধেয়ে আসাছে ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় অফিস। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনির ঝুঁকি এড়াতে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারী করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় অফিসের রেডিও অপারেটর মিটন জানান, উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে নিযুক্ত ১হাজার ৬৫জন প্রশিক্ষিত সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক যে কোন আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এবং রের্ড এলার্টের ঘোষণা এলে অন্যন্য আশ্রয় কেন্দ্র গুলোও খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অফিস সূত্র, মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম কে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার কে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাছাড়া “ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারা রাত বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। বাংলাদেশ যখন অতিক্রম করবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply