বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ যুবক ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত। আমাদের যুবকেরা তাদের অসাধারণ প্রতিভা গুলো দেখিয়ে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ ট্রেড মার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় নিয়োজিত। দেশে যখন কর্মের অভাব তখন আমাদের যুবকেরা বসে না থেকে বেছে নিয়েছে মুক্ত পেশা কে। যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে টক্কর দিচ্ছে বিশ্বের উন্নত সব দেশের তরুণদের সাথে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অন্য দেশের থেকে অনেক বেশী কিন্তু আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারেরা পিছিয়ে রয়েছে শুধু মাত্র একটি দিকে। বিদেশের ক্লায়েন্টের কাছে থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার মাধ্যম পেপাল বাংলাদেশে চালু না থাকার কারনে। বিদেশে সকল দেশে ডিজিটাল লেনদেন হয়ে থাকে পেপালের মাধ্যমে কিন্তু আমাদের দেশে পেপাল না থাকার কারনে ভিন্ন পথে আনতে হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের কষ্টে অর্জিত টাকা,আবার অনেকে সেটি পারছে না।
ফলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেক ফ্রিল্যান্সার, অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার পেপাল চালু করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে, পেপালের নামে যে মাধ্যম টি এনেছে সেটি আসলে জুম। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নাই।
অবশেষে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা কে দূরে ঠেলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ব্যাংক এশিয়া বিশেষ ধরণের এক কার্ড এনেছে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস) এবং মাস্টারকার্ডের সহযোগিতার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্নের এক কার্ড।
এই কার্ড টি বিশেষ ভাবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যারা ফাইবার, আপওয়ার্কের মত মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। স্বাধীন ফ্রিল্যান্সার কার্ডের মাধ্যমে পেপাল ছাড়াই বিদেশী মার্কেটপ্লেস বা ক্লায়েন্ট এর কাছে থেকে অর্থ নিতে পারবেন।
এই কার্ড ধারী কোন ব্যক্তি চাইলে তিনি যে পরিমাণ অর্থ মার্কেটপ্লেস থেকে নিবেন সেটার ৭০ ভাগ ইউএস ডলার কার্ডে ই সংরক্ষণ করতে পারবেন, যদি তিনি চান। কার্ডে সংরক্ষিত এই ডলারের মাধ্যমে তিনি চাইলে দেশে বিদেশের যে কোন অনলাইন শপ হতে কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার তিনি যদি চান কার্ডের পুরো অর্থ ই উত্তোলন করবেন, সেটাও পারবেন।
স্বাধীন কার্ডের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার দেশ – বিদেশের অলি গলির যে কোন এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন এবং পিওএস মেশিনের মাধ্যমে যে কোন ধরণের কেনাকাটা বা অন্য কোন বিলও পরিশোধ করতে পারবেন। ডুয়েল কারেন্সি বা একই সাথে টাকা ও ডলার এর লেনদেন করা যাবে এই কার্ডে মাধ্যমে বাৎসরিক মাত্র ৫৭৫ টাকা চার্জের মাধ্যমে।
বিদেশ থেকে যে কোন পরিমাণ অর্থ কার্ডে নিতে পারবেন,এতে কোন লিমিট নাই কিন্তু দেশের ব্যাংক হতে কার্ডে ডলার তুলতে চাইলে পাসপোর্টের ফটোকপির মাধ্যমে এন্ডোরর্সমেন্ট করতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এক হোটেল এ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এই কার্ডের যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীন ফ্রিল্যান্সার কার্ডের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান।
স্বাধীন ফ্রিল্যান্সার কার্ডের যাত্রা শুরুর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী,ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট মো. আরফান আলী, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, মাস্টার কার্ডের উপমহাদেশের প্রধান বা ভারতের কান্ট্রি করপোরেট অফিসার ও সাউথ এশিয়া ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট পৌরুষ সিং এং মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।…
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply