৭ মে বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়।
দুই দেশই এই অর্থ প্রদান করবে বলে ঐক্যমতে পৌঁছান তারা। সিদ্ধান্ত হয়, ভারত ৪০ ও বাংলাদেশ ৬০ শতাংশ নির্মাণ ব্যয় বহন করবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
বাকি চার সদস্য হলেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বিএফডিসি’র পরিচালক (প্রডাকশন) নুজহাত ইয়াসমিন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র বিভাগ) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডকুফিল্ম ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’-এর নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিকলু।
ভারতের পক্ষে এতে অংশ নেন প্রখ্যাত নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল, দেশটির দূরদর্শন টিভি ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর কর্মকর্তারা।
ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক ব্লগের মাধ্যমে এ বৈঠকের ছবি ও তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ভারতের একাধিক গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তারা জানায়, আলোচনা অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সবকিছু শেষে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল বলেন, ‘৭ মে সারাদিন আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে প্রচুর গবেষণা দরকার। এরপর বিভিন্ন ভাষা অনুযায়ী ছবিটির চিত্রনাট্য তৈরি হবে।’
চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা তুলে ধরা হবে।
এর আগে, ভারত-বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করতে গত ১ এপ্রিল ঢাকায় আসেন ছবিটির পরিচালক ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) একটি বৈঠকেও অংশ নেন। সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। ঘুরে দেখেন গাজীপুরের শফিপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি।
এর আগে ২০১৭ সালে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুর ওপর চলচ্চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে। বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি তার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply