ধর্ষণের অভিযোগ করা মেয়েটি জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল হাসান প্রধানীর স্ত্রী মুক্তার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এর আগে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মকবুল এবং তার স্ত্রী মুক্তার সঙ্গে তাদের শ্বশুরবাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার শাপখাওয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে মকবুল। সে কান্নাকাটি করলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুড়িগ্রামে নিয়ে এসে মৌখিকভাবে বিয়ে করে। এরপর থেকে গত তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন মকবুল হাসান প্রধানী।
মেয়েটি আরও জানায়, ঘটনার দিন গত বুধবার সকালে মোবাইলে মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী ভ্যানচালক শামসুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করার সময় মকবুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে দু’জনকে মারধোর করে। এ সময় ওই এলাকার আনছার আলীর ছেলে মিন্টুসহ কয়েকজন গ্রামবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করার সময় মকবুল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম হায়দার জানান, মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটিকে ঘরে তুলতে অস্বীকার করায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে মেয়েটিকে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখি শেষ পর্যন্ত কী সমাধান টানা যায়।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply