বেসরকারী কলেজের ২০১৮ ইং সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারী কলেজ পর্যায়ের কম্পিউটার বিষয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রদর্শকগন সহ ২এর অধিক বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রদর্শকগন কখনই এমপিও ভুক্ত হতে পারবেন না।
বিগত ১৯৯৫ ইং সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা যা ২০০৫ সালে সংশোধিত হয়। উক্ত নীতিমালার স্বারক নংঃ শাঃ ১১/বিবিধ-৫/৯৪(অংশ-৬)/৩৯৫ তারিখঃ ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ এর ’৯ এর ৫ ধারা অনুযায়ী ’’ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য একটি প্রদর্শক পদ থাকবে।
তবে তিন বা ততোধিক ব্যবহারিক বিষয় চালু থাকলে আরো ১টি প্রদর্শক পদ যুক্ত করা যাবে।’’ এছাড়া স্টাফিং প্যাটার্ন ডিগ্রী ও ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এর উপধারা “ঘ” অনুযায়ী “প্রদর্শক প্রতি ব্যবহারিক বিষয়ে ১-জন” মর্মে নির্দেশনা থাকায় বাংলাদেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বা কাম্পিউটার বিষয় সহ অন্যান্য ব্যবহারিক বিষয়ে প্রদর্শক নিয়োগ প্রদান করা হয়।
কিন্তুু নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারিক বিষয় যে কয়টিই থাকুক না কেন এমপিও পাবেন মাত্র ২ জন প্রদর্শক। এমতাবস্থায় কলেজ গভনীং বডি ও অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের কলেজের প্রয়োজন অনুযায়ী ২ জনের নাম এমপিও ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে মাউশিতে আবেদন প্রেরন করেন।
এর মধ্যে কম্পিউটার প্রদর্শক পদে বেশ কিছু শিক্ষক এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। আর ২ এর অধিক ব্যবহারিক বিষয়ে প্রদর্শক নিয়োগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রনালয়ের পরবর্তি ছাড় বা প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষা করতে থাকে। এমতাবস্থায় বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০১৮ সালের ১২ই জুন তারিখের ১১.১৭ ধারা মোতাবেক “এই নীতিমালা জারির পূর্বে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী এই জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও. নীতিমালায় বর্ণিত প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদে এম.পি.ও.ভুক্ত হতে পারবেন” মর্মে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ২৪ এর ’’ঘ’’ ধারায় শর্ত থাকে যে ’’ এ নীতিমালার আওতায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদে নিয়োগের বিষয়ে সরকার পৃথক আদেশ জারি করবে’’।
সে মোতাবেক গত ১৩-০৬-২০১৯ ইং তারিখের ৩৭.০২.০০০০.১০৫.৯৯.০২১.১৮/২২১৩/৪ নং স্বারকে মাউশির এক প্রজ্ঞাপনের ১ নং শর্তে বলা হয় নির্ধরিত আর্থিক বছরের (২০১৮-২০১৯) পূর্বে কোন পদের নিয়োগ পাওয়া কোন পদের নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহন করা হবে না।
যার কারনে গত ০৬-০৮-২০১৮ ইং তারিখে পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজ, পুঠিয়া, রাজশাহীর কম্পিউটার বিষয়ে প্রদর্শক পদে ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া জনাব মো: মানিকুল ইসলাম এর এমপিও আবেদনটি বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট থানা শিক্ষা অফিসার।
(জবধংড়হ: ঙঃযবৎং উবংপৎরঢ়ঃরড়হ: ঘড় ংপড়ঢ়ব ঃড় ৎবপৎঁরঃ নবভড়ৎব ২০১৮-২০১৯ ভরংপধষ ুবধৎ ধপপড়ৎফরহম ঃড় ঃযব এ.ঙ. হড়. ৩৭.০২.০০০০.১০৫.৯৯.০২১.১৮/২২১৩/৪: ফধঃবফ ১৩/০৬/২০১৯ পড়হফরঃরড়হ হড়.১)
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের যে সকল প্রতিষ্ঠানে ১৯৫৫ ও ২০০৫ এর জনবল কাঠমো অনুযায়ী ২ এর অধিক ব্যবহারিক বিষয়ে প্রদর্শক নিয়োগ দেওয়া আছে তাদের এমপিও ভুক্তির কোন সম্ভাবনা ্বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী নাই জেনে ২০১৮ সালের পূর্বে নিয়োগ পাওয়া ধোকড়াকুল ডিগ্রী কলেজ রাজশাহী এর মেহেদি, বিড়ালদহ কলেজ রাজশাহী এর রেজা, কাফুরিয়া কলেজ, নাটোর,মহাদেবপুর নঁওগার জাহাঙ্গীরপুর স্কুল এন্ড কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রদর্শক মোঃ মউল আশরাফ ডিটো সহ দেশের হাজারও প্রদর্শকগনের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে বিধায় সংশ্লিষ্ট প্রদর্শকগন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না মর্মে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply