কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের রোল মডেল। ত্রাণ নির্ভর নয়, আমরা দেশকে দুর্যোগ সহনীয় হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।
গতকাল সকাল থেকে জামালপুরের সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণ কালে বন্যার্তদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি, মির্জা আজম এমপি, ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাাদক শাসসুন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এড. আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়োর সিনিয়র সচিব শাহ কামাল ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, দেশে আর মঙ্গা নেই। মঙ্গা বলতে গালি দেওয়াকে বোঝাতো। তিনি বলেন, মঙ্গা দূর করা সম্ভব হয়েছে সরকারের কৃষ্টি প্রণোদনার কারণে। কৃষক স্বল্প মূলে বীজ সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহজে পাচ্ছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি মন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি জামায়াত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন গুজব রটিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চায়।
তিনি বলেন, অগ্নি সংযোগ করে তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারে নি- গুজব রটিয়েও তারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারবেনা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেন, দেশ এখন ত্রাণ নির্ভর নয়- দুর্যোগ সহনী দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বন্যা হবে। তবে জনপদ বন্যা কবলিত হবে না। দেশের সবগুলো নদীতে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বন্যায় যারা গৃহহীন হয়েছে তাদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। সারা দেশে ৩ লাখ দুর্যোগ সহনী ঘর তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুর্যোগের সময় গবাবদিপশু রক্ষায় মুজিব কেল্লা নির্মাণ করেছিলেন। আমরা দেশে ৫৫০টি মুজিব কেল্লা নির্মাণ করবো। এরমধ্যে ২৫টি মুজিব কেল্লা জামালপুর জেলায় নির্মাণ করা হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। আমরা বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে বন্যা প্রবণ জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠিয়েছি। চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
যত দিন দুর্গত মানুষ ঘরে ফিরে না যাবে তত দিন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জেলা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রুসহ দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌছে দেওয়ার জন্য একটি করে ইঞ্চিনচালিত নৌকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply