রুবেল সরদার, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে দৌরত্ব বেড়েছে দালাল চক্রের । উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের সহজ সরল দরিদ্র মানুষই তাদের মূল টার্গেট। দীর্ঘদিন যাবৎ ৬ ইউনিয়ন থেকেই কমবেশি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের খবর আসতে থাকে সংবাদকর্মীদের কাছে। এরই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্য কর তথ্য। তথ্য মতে, উপজেলার চাঁদাপাশা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের রাজমাথা নামক স্থানের মৃত্যু মেয়াজান হাওলাদারের পূত্র ফজলুল মহুরি ওরফে চিটার ফজলা রহমতপুর ইউনিয়নের লোহালিয়া গ্রামে হাকিম হাওলাদারের স্ত্রী পারুলের মাধ্যমে এলাকার সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে সরকারি ঘরসহ বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের প্রায় শতাধীক পরিবারের কাছ থেকে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আলো বেগম বলেন, ঘর পাওয়ার আশায় ৭/৮মাস আগে এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন ওই দালাল ফজলার কোনো দেখা নাই। এছাড়াও আলমাছ বেপারি, আশ্রাফ হাওলাদার, সোবাহান, সেতারাসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, হাকিমের স্ত্রী পারুল এর মাধ্যমে ফজলু ঘর, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ উত্তোলন করে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
প্রতারক ফজলুল মহুরি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শতাধীক লোকের কাছ থেকে নয় মাত্র ৪৭ জনের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছি । ঘর পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যম জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিবালয়ে কর্মরত গিয়াস উদ্দিন নামের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ করে দেওয়া হবে। এদিকে কেদারপুর ইউনিয়ন থেকে প্রায় অর্ধশতাধীক লোকের কাছ থেকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ১৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছে একটি চক্র বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত সুত্র। লোহালিয়ার ইউপি সদস্য জেলানি সাজোয়াল বলেন, অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা শুনেছি। রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি তবে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার বলেন, এধরনের অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি অনুদান পেতে কোন ধরনের অর্থের দরকার হয় না।(চলমান)
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply