গতকাল বুধবার খুলনা শহরের সিএসএস আভা সেন্টারে দিনব্যাপী এ সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বাল্যবিয়েকে না বলতে হবে। বাল্যবিয়ের সাথে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। ইতোমধ্যে কাজি ও পুরোহিতদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।’
আগামীতে বাল্যবিবাহের দাওয়াত খেতে গেলেও নেয়া হতে পারে ব্যবস্থা। এমনটাই জানালেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মিয়া। খুলনায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ে কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিষয়ক বিভাগীয় অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারা বাল্যবিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের পাশাপাশি সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে পুরনো ধারণা বাদ দিয়ে আধুনিক চিকিৎসা নিতে হবে। শারিরীক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সামাজিকভাবে সুখী ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এক তথ্যে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ বছরের আগে ২২ শতাংশ এবং ১৮ বছরের আগে ৫৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় যায়। আর ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে শতকরা ৩১ জন সন্তানসম্ভবা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এখনও গ্রাম-গঞ্জের মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালীন কার্যক্রমের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই স্কুলবিমুখ হয়। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলনা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃথক কর্ণার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
উক্ত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. জয়নাল হক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply