বাস চালকের অসাবধানতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোতে বলি হলেন আরো একজন। গত শনিবার (১২ মে) সকালে ওয়ারীর জয় কালীমন্দির এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে দায়িত্বপালন করছিলেন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন সুমন।
সকাল ১০টার দিকে তারাবো পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে তার বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে থেঁতলে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।মৃত আলাউদ্দিনের ভাই সালাউদ্দিন পলাশ জানান, সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার (১৪ মে) আবারো তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, আলাউদ্দিনের লাশের ময়নাতদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বাসচালক ইকবাল হোসেনকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে আছেন। ওই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
আলাউদ্দিনের ভাই সালাউদ্দিন পলাশ গত রবিবার বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে হানিফ ফ্লাইওভারে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন সকালেও দায়িত্ব পালনকালে ফ্লাইওভারের ওয়ারীর ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল বরাবর যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা তারাবো পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসের চাকা তার বাঁ পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তার পায়ের তালু ও আঙুল থেঁতলে যায়।
চালকের এই বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠেকাতে এদের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এদের থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য চালকেরা বাধ্য হবে নিয়ম মেনে চলতে। এমন দূর্ঘটনার তান্ডব অনেকটাই কমে আসবে তাহলে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস