বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম শাহীন হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পরিবহন ব্যবসায়ী শাহীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। তবে পুলিশের দাবি, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই ওই হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
তিনি বলেন, নিহত শাহীন মোটর মালিক গ্রুপের বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোটর মালিক গ্রুপের দায়িত্বশীল এক নেতার অফিসে গোপন বৈঠকে শাহীনকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। এ হত্যায় অন্তত ১০ জন অংশ নেন।
পুলিশ সুপার জানান, বুধবার ভোরে রাসেলকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলসহ শহরের নিশিন্দারা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রাম থেকে পায়েলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল ও পায়েল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পায়েল শেখ, রাসেল এবং আরও ৮/৯ জন শাহীনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমবার হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শাহীনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বগুড়াবাসী ক্ষুব্ধ। পুলিশ প্রশাসন খুনিদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে বগুড়াবাসী বসে থাকবে না। ’
বৃহস্পতিবার শাহীনের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহীনের স্ত্রী গত ১৬ এপ্রিল বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply