বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪ সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার(৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় কক্সবাজার বিজিবি ও মিয়ানমার বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে সীমান্ত-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ প্রান্তে ওই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিজিবির হাতে আটক বিজিপির চার সদস্য ও তাদের অস্ত্রসহ মিয়ানমার বিজিপিকর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৈঠক শেষে কক্সবাজারের টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৫ আগস্ট টেকনাফ বিজিবি সদর ও নাজিরপাড়া বিওপির জওয়ানরা নাফ নদীতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মিয়ানমারের দিক থেকে একটি স্পিডবোট সীমান্তরেখার প্রায় এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে ভাঙার মুখ স্পট থেকে সাদা পোশাকধারী চারজনকে অস্ত্রসহ বিজিবির সদস্যরা আটক করেন।
বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে সাহসিকতার সাথে অস্ত্রধারী চারজনকে বিজিবির নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক লোকজন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির সদস্য। আটক বিজিপির সদস্যদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে বিজিবির হেফাজতে নিয়ম অনুযায়ী রাখা হয়। বুধবারের পতাকা বৈঠক শেষে মিয়ানমার বিজিপি পুলিশ ক্যাপ্টেন লুইন কু মং, পুলিশ করপোরেল কিউ কিউ, পুলিশ লেন্স করপোরেল পাইং ই ও কনস্টেবল ইয়ান নাইং টুনকে প্রতিপক্ষের কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমার বিজিপির সদস্যরা সুস্থ রয়েছেন। তাদের সাথে অস্ত্রগুলোও ফেরত দেয়া হয়। বিজিবির ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ-২ বিজিপির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিজিপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ১ নং বিজিপির অধিনায়ক পুলিশ লে. কর্নেল কিয়াউ উইন হ্লাইং।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply