২০১০ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ফোরলানের চমৎকার পারফরম্যান্সের উপর ভর করে সেমিফাইনালে উঠেছিল উরুগুয়ে। ওই বিশ্বকাপে ৫ গোল করেছিলেন, জিতেছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। ২০১১ সালে উরুগুয়ের হয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের স্বাদ।
২০১৫ সালের জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও ফোরলান ক্লাব ফুটবলে মাঠ মাতিয়ে যাচ্ছিলেন । এবারে সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে ২১ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
বুধবার (৭ আগস্ট) স্প্যানিশ টেলিভিশন টেলেমুনডোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন উরুগুইয়ান গ্রেট। এ সময় তিনি বলেন, এটা (অবসর) সহজ ছিল না। আমি চাইনি এমন কোনো সময় আসুক। কিন্তু আমি জানতাম এমন কিছু ঘটবে। আমি পেশাগত ফুটবল খেলা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উরুগুয়ের হয়ে ১১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফোরলান দেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করেছেন। আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে থেকে ক্যারিয়ার শুরু করার পর খেলেছেন ম্যানইউ, ভিয়ারিয়াল ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং ইন্টার মিলানে। ক্যারিয়ারের শেষভাগ পার করেছেন এশিয়ায়। গত মে মাসে শেষ ম্যাচ খেলেন হংকংয়ের ক্লাব কিচের জার্সিতে।
২০০৪-০৫ মৌসুমে ভিয়ারিয়ালের হয়ে ৩৮ ম্যাচে ২৫ গোল করেন ফোরলান। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ২০০৮-০৯ মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে করেন ৩২ গোল। ওই সময় জেতেন ইউরোপের লীগ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে কেরেজো ওসাকা ও মুম্বাই সিটির হয়েও খেলেছেন ক্লাব ফুটবলে ৫২৫ ম্যাচে ২২২ গোল করা এই ফুটবলার।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply