মুহাম্মাদ সাঈদুল ইসলামঃ যারা অনলাইন নিউজ পোর্টাল ব্যবহার করে একটি সত্য ঘটনার সংবাদ, তথ্য সারা বিশ্বের পাঠকের কাছে মুহুর্তেই পৌঁছে দেন অথবা এই পক্রিয়ার সাথে জড়িত থাকেন এবং এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তাদেরকে অনলাইন সাংবাদিক বলে। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর অনলাইন সাংবাদিকতার পর্বটি বিশ্বজুড়ে শুরু হয়। বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৪ সালে। প্রথমদিকে গুরুত্বতা কম ছিল। ক্রমান্বয়ে মুহুর্তেের সংবাদ মুহুর্তে পাওয়ায় বর্তমানে এই গণমাধ্যম খুব জনপ্রিয় একটি সংবাদ মাধ্যম
হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অনলাইন প্রযুক্তির অগ্রগতিতে সাংবাদ এখন মানুষের পকেটে পকেটে। তাই অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুত্ব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গণমাধ্যম এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। এই গণমাধ্যম কে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অনুষঙ্গও বলা যায়। এছাড়াও অনলাইন সাংবাদিকতায় ভিন্ন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যথাঃ > বাস্তবতা > গ্রহণযোগ্যতা > সততা > পাঠকের সাথে সম্পৃক্ততা > সহজে একটি ভূল সংবাদ ডিলিট করা > সংবাদের সাথে ভিডিও চিত্র সরাসরি বিশ্বজুড়ে সম্প্রচার করা যায় > সংবাদের পাঠকপ্রিয়তা যাচাই করা যায় > যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে লাইভ এর মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা যায় > সংবাদের স্থায়িত্ব উপভোগ্য > সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংবাদ নিয়ে এখন আর দূরদূরান্তে ফেরী করতে হয়না। তাইতো
বলা হয় “বদলে গেছে দিনকাল নিউজ এখন ডিজিটাল। সংবাদ প্রকাশ এবং প্রচারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও সকল আদর্শ সাংবাদিকদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য, নীতি, মূল্যবোধ এক এবং অভিন্ন হওয়া প্রয়োজন। একজন আদর্শ সাংবাদিকের থাকে নিরপেক্ষ মনন, সৃজনশীলতা,দক্ষতা, মেধা এবং নৈতিক মূল্যবোধ,সাহসিকতা ও বিচক্ষণতা। তথ্য ও প্রযুক্তিজ্ঞান সকল গণমাধ্যম সংবাদিকদের জানা থাকা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবণা একেবারেই ক্ষীণ। অনলাইন সাংবাদিকতা একটি ইন্টারেক্টিভ প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে পাঠকের মতামত জানা ও পাঠককে নিজের মতামত দ্বারা প্রভাবিত করার
সুযোগ বিদ্যমান। অনলাইনে একটি সংবাদের সাথে একই বিষয় অথবা ভিন্ন বিষয়ের লিংক প্রদানও করা যায়। গণমানুষের কাছে সংবাদ, বিনোদন, মতামত পৌঁছে দিতে যে সব মাধ্যম ব্যবহার করা হয় সে সব মাধ্যমকে গণমাধ্যম বলা হয়ে থাকে। জনগনের কাছে সংবাদ প্রেরণ করতে অতীতকালেও নানা পক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। মোগল আমলে পায়রার পায়ে বেঁধে দিয়ে সংবাদ আদান-প্রদান করা হতো। সম্রাট আকবরের সময় ওয়াকিয়া নফিজ এবং কুফিয়া নফিজ নামে দুই ব্যক্তি সংবাদ এবং তথ্য সংগ্রহ করে লিখতেন। বর্তমান বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব তাই গণমাধ্যমেও এই তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে গিয়েছে, লাগাটাই স্বাভাবিক। সাধারণত গণমাধ্যম যেভাবে চলছে আমরা এটিকে প্রথমত দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারি। ১) ঐতিহাসিক গণমাধ্যম ২)নতুন গণমাধ্যম ঐতিহাসিক গণমাধ্যম ফের দুই ভাগে বিভক্তঃ ১.মুদ্রণমাধ্যম ২.ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম নতুন গণমাধ্যম চারভাগে বিভক্তঃ
১.অনলাইন নিউজপোর্টাল ২.মোবাইল ৩.ইন্টারনেট ৪.সামাজিক গণমাধ্যম উল্লেখিত সকল গণমাধ্যমের মধ্যে অনলাইন গণমাধ্যম কিংবা অনলাইন সাংবাদিকতা ও অনলাইন সাংবাদিক এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। অপরদিকে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিনিক গণমাধ্যমের জনপ্রিয়তা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যেতে চলেছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এর জনপ্রিয়তা কিংবা গতিকে বাস,ট্রেনের গতির সাথে তুলনা করা যায়। অনলাইন গণমাধ্যম সম্পর্কে তুলনা করে বলতে গেলে বলা যায়…………… এ যেন একটি আকাশে বিমান উড্ডয়নের পূর্বমুহুত। তবে ইতিমধ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম অনলাইন এর গুরুত্বতা উপলব্ধি করে অধিকাংশই অনলাইন ভার্সনেও বিকল্প পথ হিসেবে ধাবিত হতে চলেছে। অতএব বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অনুষঙ্গ অনলাইন গণমাধ্যম কিংবা অনলাইন সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক কে ছোট করে বা বাঁকা চোখে দেখার সুযোগ
নেই।
Leave a Reply