আজ ১৭ জুন বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিবসটি পালন করা হয়। বাবার সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় দিনটি।
কিন্তু কোথা থেকে বা কবে থেকে বাবা দিবস পালনের সূচনা, তা আমরা ক’জনই বা জানি?
মধ্য যুগে, ক্যাথলিক ইয়োরোপে প্রথম এই দিনের উল্লেখ করা হয়েছে। নিউট্রিটর ডোমিনি বা নারিশর অফ দ্য লর্ড, সেইন্ট জোসেফের নামে ১৯ মার্চ পালিত হয় দিনটি।
যাথলিকদের বিশ্বাস, সেইন্ট জোসেফই হলেন যিশুর বাবা। যেহেতু যিশুকে মানুষ করেছিলেন তিনি তাই তাকে বলা হয় নারিশর অফ দ্য লর্ড। রাজা হেরডের হাত থেকে তাদের সন্তানকে বাঁচাতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা মেরিকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন জেরুজালেমের দিকে। পেশায় গরিব কাঠুরে হলেও যিশুকে মানুষ করতে যথাসম্ভব কষ্ট করেছিলেন জোসেফ। বাবার কাছে বসে কাঠুরের কাজও শিখেছিলেন যিশু।
সেই থেকেই সন্তানের প্রতি বাবার দায়িত্ব এবং বাবার প্রতি সন্তানের কর্তব্যবোধের প্রকাশ হিসেবে ফাদার্স ডে–র প্রচলন।
পরে স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজরা আটলান্টিক পেরিয়ে উত্তর এবং লাতিন আমেরিকায় উপনিবেশ গড়ে তোলে, তখন তাদের হাত ধরেই ওই দুই মহাদেশে প্রচলন হয় ফাদার্স ডে–র।
লাতিন আমেরিকা এবং ইউরোপে এখনও ১৯ মার্চকেই ফাদার্স ডে বলে মানা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত, জুনের তৃতীয় রবিবারে পালিত হয় ফাদার্স ডে।
কয়েকটি ইউরোপ এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশে আবার এপ্রিল এবং মে মাসেও ফাদার্স ডে পালিত হয়।
বাবা দিবস নামেই বোঝা যায় এটা পিতৃত্বের দিন। এই দিনটা আসলে ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে বাবাকে একটু বেশি সময় দেওয়ার দিন।
বৃদ্ধ বাবার প্রতি সম্মান জানিয়ে এ দিনটি পালিত হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে বাবাকে বিভিন্ন ধরনের উপহার দেয়ার রীতিরও প্রচল হচ্ছে আমাদের দেশে।
তবে শুধু এই একটি দিনকে কেন্দ্র করে নয়, পরিবারের মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যত্নবান হওয়া উচিৎ প্রতিদিনই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply