ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের ভাদুঘরে নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর হালিমা আক্তার (২৮ মাস) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পৌরশহরের ভাদুঘর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হালিমা আক্তার ভাদুঘরের ভূইয়া পাড়ার আমির হোসেনের মেয়ে।
পাশাপাশি দুটি উঁচু ভবন। মাঝখানে সরু গলির মতো কিছুটা ফাঁক। সেখানেই ফুটফুটে একটি শিশু। ঘাড় বেঁকে মুখটা নিচের দিকে। শরীরে মেজেন্টা রঙের শীতের পোশাক। পরনে বেগুনির ওপর লাল-সাদা স্ট্রাইপের ট্রাউজার। পায়ে গোলাপি রঙের স্যান্ডেল, উপরের অংশে ফুলের কাজ।
ডান হাত সামনে ঝুকিয়ে, বাম হাত একটু পেছনে রাখা। খালি চোখে মনে হবে, শিশুটি শীতে কারও উষ্ণতা পেতে গা এলিয়ে শুয়ে আছে।
আড়াই বছরের শিশুটির নাম হালিমা। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়ার রাজমিস্ত্রী আমির হোসেনের মেয়ে।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়িতেই খেলছিল হালিমা। হঠাৎই তার খোঁজ নেই। খোঁজ পেতে মাইকিং চলার মধ্যে দুপুর পৌনে ১টার দিকে খবর পাওয়া যায়, তার সন্ধান পাওয়া গেছে। ছোট্ট হালিমার নিথর দেহ মিলেছে দুই ভবনের ফাঁকে। মা-বাবাতো পড়িমড়ি করে ছুটে গিয়ে জেলা শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক বলেন, সকাল সাড়ে সাত টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় হালিমা। পরে লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের মাধ্যেমে হালিমার পরিবার জানতে পারে তাদের বাড়ি থেকে এলাকার দূরবর্তী স্থানে ও দুটি ভবনের মাঝখানে হালিমার মরদেহ পাওয়া যায়।
জিয়াউল হক আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসঃরোধ করে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়েছে। তবে তদন্তের পর জানা যাবে কি কারণে শিশু হালিমার মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply