
নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি:যশোরের মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবদহ অঞ্চলের ৭টি গ্রামের ভূ-খন্ড দিয়ে টি আর এম প্রকল্পের কাজ চালু করার দাবী। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি দাবি করছেন যে বিল কপালিয়ায় ( টি আর এম) না হলে ৩৫০টি গ্রাম ডুবে যাবে এবং বিশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একদিকে বিল খুকশিয়ার টি,আর,এম বন্ধ, অন্যদিকে বিল কপালিয়ার টি,আর, এম বাস্তবায়নে নানা জটিলতা ও সহিংস ঘটনার কারণে দনি -পশ্চিমাঞ্চলের জনগনের দুঃখ হিসেবে খ্যাত ভবদহ জলাবদ্ধতা এলাকার মানুষদের দুঃখই রয়ে গেল।
মুক্তেশ্বরী,শ্রী, হরি এই তিন নদীর সঙ্গম স্থলের অদূরেই ভবদহ অর্থাৎ যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে ভবদহ এলাকা বিস্তৃত। আর তা হলে শ্রী হরি নদির নাব্যতা সঙ্কট যে পরিমাণে কমতো তার ফলে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশন সমস্যা হত না। ক্ষতিগ্রস্থ হত সাদা মাছ চাষীরা সে কারণে এই সংগ্রাম কমিটি নিজেদের এলাকায় সাদা মাছ চাষীদের রক্ষায় বিল কপালিয়ায় টি আর এম করার দাবি তুলছে।সব গেট খুলে দেওয়ার দাবি তারা করছে না।
এ সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে বিল কপালিয়ায় প্রকল্প না করতে পারলে ভবদহের পাড়ের ২০ লক্ষ জনগণ আবারো জলাবদ্ধতা শিকার হবে। তাদের বক্তব্য হলো জোয়ারের লোনা পানিতে তাদের সাদা মাছ চাষের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে। এখানেই সংঙ্কট নিহিত রয়েছে- আমাদের দেশের নদ- নদীসমূহে উজানের মিঠা পানি না পেয়ে ভাটির জোয়ারের লোনা পানিতে জোয়ায়ে আসা পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেও চাইবেনা তাদের সাদা মাছ চাষ ধ্বংস হোক। এটা কোনো গ্রামের লোক চাইবে না।
তাহলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান কি ভাবে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী বলেন,ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম প্রকল্পের কোন বিকল্প নেই। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সকলকে সাথে নিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে টিআরএম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে। তা ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply