গুরুদাসপুরে ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিনটি কারখানার মালিককে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ওই কারখানা থেকে ৩১৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। র্যাব-৫, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় কারখানা থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল গুড় জব্দ করে তা নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, কাপড়ে দেওয়া রং, চিনি ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরী করে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের সুজন সোনার, মোক্তার শাহ ও আল আমিনের গুড়ের কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। অভিযানকালে তিনটি কারখানা থেকে ৩১৯ বস্তা চিনি উদ্ধার ও বিপুল পরিমান ভেজাল গুড় জব্দ করা করা হয়। পরে কারখানা মালিকদের ভ্রাম্যমান আদালতের সামনে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করেন। পরে উদ্ধারকৃত চিনিগুলো এলাকার এতিম খানা ও মাদ্রাসায় দান করার সিদ্ধান্ত এবং জব্দ করা ভেজাল গুড়গুলো নদীতে ফেলে তা ধ্বংস করা হয়।
র্যাব-৫, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল আহসান জানান, অভিযানে ১৫ হাজার ৯৫০ কেজি চিনি, এক লাখ কেজি গুড়, ২৮০টি প্লাষ্টিকের ড্রাম, ৩৫০টি সিলভারের পাতিল, ২৫০ কেজি আতব চাউল জব্দ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিনটি কারখানার মালিককে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হয়েছে এবং জব্দকৃত চিনি সমূহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply