ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার হলে নকলের সুযোগ না দেওয়ায় কেন্দ্রের মধ্যেই দায়িত্বরত শিক্ষিকাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোলার বাংলাবাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষিকা ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হামলাকারী শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষক সংগঠনের নেতাসহ স্থানীয় শিক্ষকরা।
স্থানীয় শিক্ষকরা জানান, শনিবার ভোলার বাংলাবাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসির গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। ওই কেন্দ্রের ৮ নম্বর কক্ষে দৌলতখান উপজেলার জয়নুল আবেদিন ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আছমা খাতুন কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীরা নকল করতে চাইলে আছমা খাতুন তাদেরকে বাধা দেয়।
এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটিও হয়। পরে পরীক্ষা শেষে আছমা খাতুন উত্তরপত্র নিয়ে কক্ষ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার্থীরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ওই শিক্ষিকা গুরুতর আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলাকারীদের আঘাতে শিক্ষিকার চোখ,মুখসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. ছগির মিঞা জানান, এ ঘটনায় ভোলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার আস্বাস দেন।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে সারা দেশে পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে জানান তিনি।
এ’ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষা সচিবকে দিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। দুইজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের উপর হামলা করেছে বলে তদন্তে জানা গেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply