বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক কণ্ঠ আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যও মানুষ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সময় হলেই জনগণ মাঠে নেমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাঁর নেতৃত্বে দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনও কিন্তু নিজেদের দাবি নিয়ে তারা নেমে এসেছিল। কারোর ডাকার প্রয়োজন হয় নাই। ইনশা আল্লাহ সময় আসছে যখন জনগণ রাস্তায় নেমে এ দেশে আগামী সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইনশা আল্লাহ।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের যে দাবি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, এগুলোর সাথে সরাসরি জনগণ সম্পৃক্ত। এই জনগণ কিন্তু এটার জন্য অপেক্ষা করছে সময়ের।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাঁর নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করবে বিএনপি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। তাই সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে। আন্দোলন সমর্থন করলে প্রথমেই তাঁরা দাবি মেনে নিত। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির কাছে মাথা নত ও পরাজয় স্বীকার করে সরকার কোটা প্রথা বাতিল করেছে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরও একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। একদলীয় শাসন তাঁদের রক্তে মিশে আছে। আওয়ামী লীগ জানে তাঁরা জনগণের কাছে যেতে পারবে না। গেলে তাঁদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে বলে জনগণকে ভয় পায়। কারণ দেশের মানুষ তাঁদের ভোট দিবে না। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে ভয় পায়।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করব। যে নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করছে, এটা শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, সরকারের নির্দেশেই আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করছেন। সব সময় হাইকোর্ট আপিল গ্রহণ করার সাথে সাথে জামিন আবেদন মঞ্জুর করতেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে তা না করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করে কারাবাস দীর্ঘায়িত করছে। হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দীর্ঘ তারিখ দিল। এসব কিছু হয়েছে সরকারের নির্দেশে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply