সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর।
লিখিত বক্তব্যে নুরুল হক নূর বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিত্তিহীনভাবে যে অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা এখনো প্রত্যাহার করেনি। আগামী দুদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে মামলা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার না করলে ছাত্রসমাজ আবার আন্দোলনে নামবে।’
আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটা জাতীয় দৈনিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমি নাকি সূর্য সেন হলে ২০১২ সালে ছিলাম। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তি হই ২০১৩ সালে। হলে উঠি ২০১৩ সালে। সেখানে বলা হয়েছে, আমি হলে থাকি না ২০১২ সাল থেকে। অথচ আমি এখনো সূর্য সেন হলে থাকি। আমার যে রুম নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেটাও ভুল। প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যা তথ্য দেওয়া হয়েছে সব ভুল।’
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশের একটা কুচক্রী মহল এখন আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আজকে বাংলাদেশের একটা জাতীয় দৈনিক রিপোর্ট করেছে, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি নাকি বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। অথচ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ডিটেইলস গোয়েন্দা সংস্থারা নিয়ে গেছে। তারা তখন কিছু পায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের নেগেটিভলি (নেতিবাচকভাবে) উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা বাংলার ছাত্রসমাজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। আজকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, যে বানোয়াট রিপোর্ট করেছে, বিকেল ৫টার মধ্যে এই সংবাদ প্রত্যাহার না করা হলে এবং ক্ষমা না চাইলে আগামীকাল থেকে ইত্তেফাক পত্রিকাকে বর্জন করা হবে।’
কোটা সংস্কারপন্থীদের আন্দোলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply