মিজানুরের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক।
দুদককে সহযোগিতা করবার আশ্বাস দিলেও তেমনটা করছেন না মিজানুর। সোমবার (০৭ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব ড. শামসুল আরেফিন। ড. শামসুল আরেফিন বলেন, রোববার, ৬ মে তার (ডিআইজি মিজান) কিছু নথিপত্র দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল।
সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা জমা দেননি বা সরবরাহ করেননি। ‘এটা সম্পূর্ণভাবে তদন্ত কাজে অসহযোগিতা। তিনি যদি এভাবে অব্যাহতভাবে অসহযোগিতা করে যান, তবে দুদক আইনে তা অপরাধ।’
তদন্ত কাজে অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণের অভিযোগে বিতর্কিত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ অপরাধে দুদক আইনের ১৯ (৩) ধারায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন দুদক সচিব।
সবশেষ মিজানুরের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ আনেন এক সংবাদ পাঠিকা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল দুদক থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর চিঠি পাঠিয়ে মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ মে দুদক কার্যালয়ে আসেন ডিআইজি মিজানুর। ওইদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। তদন্তের জন্য দুদককে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply