মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই ছাত্রী অপমান সইতে না পেরে বুধবার সকাল সারে ৯টায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলকে বৃহস্পতিবার ওই এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আত্মহত্যার আগে ঘটনার বিবরণ তার পরিবারকে জানিয়ে গিয়েছে। এদিকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ওই ছাত্রী।
এ দিকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিথান থানার ওসি ফরিদউদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে এখন কিছু বলা যাবে না। আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি সোহেলকে বৃহস্পতিবার আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সেতু মণ্ডলকে (১৫) গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় গোয়ালখালী রাস্তা থেকে মুখ চেপে অপহরণ করে । পরে কেরানীগঞ্জের এক বাড়িতে নিয়ে সেতুকে গণধর্ষণ করে বখাটেরা।
নিহতের মা বলেন, আমার দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে সেতু দ্বিতীয় সন্তান। গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা-নবাবগঞ্জ রাস্তার তুলশীখালী গোয়ালখালী পৌছলে সোহেল, পলাশসহ তিনজন আমার মেয়েকে জোর করে মুখে রুমাল চেপে অপহরণ করে। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ঢাকা কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকা নিয়ে যায়। ওরা সারারাত আমার মেয়েকে নির্যাতন করে।
তিনি আরো বলেন, পরের দিন ১১ এপ্রিল কদমতলী থানা থেকে আমাগো ফোন করলে আমরা আমার সেতুকে নিয়ে আসি। ঘটনায় জানাজানি হওয়ায় লজ্জায় ঘৃণায়, অপমানে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। আমি সবার কাছে তাদের বিচার চাই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply