সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাংগুয়ার হাওর থেকে উদ্যার হওয়া মেছোবাঘের শাবকটি সিলেট ইকো পার্কে নেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সিলেটের টিলাগড় ইকো পার্কে বাঘটি হস্তান্তর করেন তাহিরপুরের ধলইরগাঁও বিট অফিসার বীরেন্দ্র কিশোর। পরে দায়িত্বশীলরা লোহার খাঁচায় বন্দি করে বাঘটিকে।
বীরেন্দ্র কিশোর জানান, টাংগুয়ার হাওরে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় শনিবার দুপুরে বাঘটিকে সিলেটের টিলাগড় ইকো পার্কে নিয়ে হস্তান্তর করা হয়। পার্ক তদারকিতে থাকা লোকজন বাঘাটি লোহার খাঁচায় বন্দি করে রাখেন। জলাভূমিতে কয়েকদিন ঝড় বৃষ্টিতে আটকে থাকায় অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়া মেছো বাঘটিকে উপজেলা সদরে থাকা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে নিয়ে গিয়ে রাতে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ইউপি সদস্য সামিউল আহমদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে সুনামগঞ্জের ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে পাহাড়ি বনের উপর থাকা স্রোতের তোড়ে এপারে টাংগুয়ার হাওরে ভেসে আসে মেছোবাঘের শাবকটি।
তিনি আরো বলেন, জীব বৈচিত্রের আঁধার গাছ মাছ অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম টাংগুয়ার হাওর ঘেষা কিংবা বারেকটিলা টিলা কেন্দ্রীক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই প্রায় সময়ই তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় বিলুপ্ত প্রজাতির ভাল্লুক, মায়া হরিণ, বাঘ ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ উদ্ধার হলে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকশত কি.মি. দূরের সিলেটের ইকো পার্কে।
‘উদ্ধার হওয়া এসব বন্যপ্রাণী স্থানীয় ভাবে সংরক্ষণ করা হলে পর্যটক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসব বন্যপ্রাণী দেখার, জীব বৈচিত্র সম্পর্কে জানার সুযোগ পেত।’
উপজেলার পাঠাবুকা গ্রামের আবদুল হান্নান তার ছেলে আরাফাত একই গ্রামের মজু মিয়া ও তার ছেলে আলিফনুরসহ চার জেলে টাংগুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকা দিয়ে সকালে মাছ ধরতে যান। ওই দিন বিকেলে হাওরের চারপাশে পানি বন্ধি জলাবনের একটি গাছ থেকে হঠাৎ করেই মানুষ দেখে ভয়ে পানিতে লাফিয়ে পড়া মেছো বাঘটি। হাওরের পানিতে ডুবে যেতে দেখে দ্রুত জাল ফেলে জেলেরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এসে স্থানীয় ধলইরগাঁও বিট অফিসের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করেন বাঘ শাবকটিকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply