নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের দক্ষিণ -পশ্চিম অঞ্চলে বাম্পার ফলন হয়েছে বোরো ধানের। বাতাসে দুলছে সোনালি ফসল । আসছে ঝড় ফণি এ সংবাদে বোরোর বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। তাদের মুখে হতাশার কালো ছায়া। আবহাওয়াবিদদের মতে শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশে এর প্রভাবে বৃষ্টি এবং ঝড়ে বাতাস থাকবে। ফলে ধান বাড়িতে উঠানো নিয়ে যত দুশ্চিন্তা কৃষকদের। যশোরে চাষীরা এখন বোরো ধান নিয়ে ব্যস্ততার সাথে দিন পার করছেন। ধান কাটা ও মাড়াই চলছে ।
এমন দৃশ্যে চাষীরা আনন্দিত কারন গত বারের থেকে অনেক ভাল ধান হয়েছে । তবে আবহাওয়ার সংবাদ তাদেরকে করে তুলেছে অস্থির। এই অবস্থায় বেড়েছে শ্রমিকের চাহিদা ও দাম। কৃষকরা জানান, জমিতে শতকরা ৮০-৪৫ ভাগ ধান পেকে গেছে । এখন আকাশে মেঘের আভা আর ঝড় হাওয়া দেখলেই তাদের যত দুশ্চিন্তা। কারন আসছে ঝড় ফনি। ঝড়ের কবলে পড়ড়ে তাদের স্বপ্নের সোনালী ফসল হারিয়ে যাবে। মনিরামপুর,কেশবপুর, শাহপুর মশিয়াহাটি, কয়েকটি মাঠে গেলে চোখে পড়ে বোরো ধান কাটার দৃশ্য।
ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে রাত দিন ব্যস্ত চাষীরা। কাটা ধান মেশিন দিয়ে মাড়াই করা করছে কৃষকরা । এ সময় মাঠে কথা হয় কৃষক নির্মল মল্লিক, আশীষ ধর , বিদুৎ সরকার,শংকর ধর সহ অনেকের সাথে। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, এবছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু তারা পুরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন । আকাশে মেঘ ও বাতাস উঠছে ভয় হচ্ছে কখন ঝড় আসবে। কিছু জায়গায় কৃষকরা জানান, এবছর ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনে অর্ধেক চিটা হয়ে গেছে।
ধানের দাম অনেক কম, তারা হতাশ ধানের দাম নিয়ে। শ্রমিকের দিন মজুরী অনেক, শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ার তারা ঝড়ের আগে ধান ঘরে তুলতে পারবে কি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি কর্মকতারা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে ধান ৮০ ভাগ পেকে গেলেই কৃষককে। ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি । কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর জেলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply