নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২১ দিনে, ( ৩০শে জুলাই) মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬ জন । প্রতিদিন রোগী বাড়লেও সরকারি এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই, বলে জানা গেছে। রোগ নির্ণয়ের এন এস১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার জন্য বেসরকারি ক্লিনিকে বা হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে রোগীদের। পরীক্ষা–নিরীক্ষার ফলাফল পেতেও বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে রোগীরা ও তাদের স্বজনরা। সরকারি হাসপাতালে মিলছে শুধু কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট সিবিসি পরীক্ষা। রিএজেন্ট না।
থাকায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের বাকি পরীক্ষাগুলো করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু আরো বলেন , আমাদের হাসপাতালে সি বি সি পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। সোমবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের। এই ওয়ার্ডে পা রাখার জায়গা নেই এমন অবস্থা। কেউ কেউ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে ডেঙ্গু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে। রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব কুমার বলেন, ৫ দিন।
আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন অনেকটা সুস্থ আছি। বাড়ি থাকতেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছি। সদর উপজেলার ছোট মেঘলা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ঢাকায় ছিলাম। সেখানেই আক্রান্ত হয়েছি। চারদিন হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাইরের ক্লিনিক থেকে করতে হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী জানান, তার কোমরের সমস্যা আছে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসা নিতে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিল। সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ৫ দিন হলো এই হাসপাতালে ভর্তি। এরমধ্যে ২৬ জন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ইমদাদুল হক রাজু বলেন, ৩০শে জুলাই মঙ্গলবার পর্যন্ত যশোর জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান , সিভিল সার্জন অফিসে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ সেল খোলা হয়েছে । এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচেতনতা জন্য জেলা পর্যায়ে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তারাও কাজ করছে। তথ্য অফিসের সহযোগিতায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply