নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউট ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পার অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে এসে কমিটির প্রধান সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আর অভিযুক্ত ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের আটকে রেখেন এবং আস্থাভাজন ছাত্রীসেবিকাদেরতে তাদের বিরুদ্ধে উসকে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ইনচার্জ নিজের ভুল শিকার করে সকলের সামনে দু’হাত জোড় করে ক্ষমা চান। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র মতে, নার্সিং ইনস্টিটিউট ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের ১৫ তারিখে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার দু’সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তের দায়িত্ব পান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) জাহেরা খাতুন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিপিএম অফিসার খোরশেদ আলম। কমিটি বুধবার সকালে তদন্তে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা নার্সিং ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত কমিটির প্রধানের সাথে কথা বলতে যান। এ সময় তদন্ত প্রধানের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চান। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সাংবাদিকরা প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষা করতে থাকেন। এর মধ্যে তদন্ত শেষে ইনচার্জের রুম খুললে সাংবাদিকরা ভিতরে প্রবেশ করে তদন্ত বোর্ডের প্রধান জাহেরা খাতুনের কাছে তদন্তের বিষয় এবং কি কি বিষয়ে তদন্ত করছেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তেলে বেগুনে জলে উঠে বলেন ‘আপনারা এখানে কার অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছেন? আমি আপনাদের প্রশ্নর উত্তর দিতে বাধ্য নই। এই বলে তিনি ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পাকে বলেন, সাংবাদিকরা এনটিসিতে প্রবেশ করার সাহস কি করে পায়।
এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এ সময় ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন উচ্চস্বরে বলতে থাকেন ‘এই বক্কর (প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী) এই সাংবাদিকরা কিভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। এদের আটকে রাখেন। তখন বক্কর প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পা তার আস্থাভাজন ছাত্রী সেবিকাদেরকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উসকে দিতে থাকেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা বিষয়টি সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায় ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদকে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পা নিজের অপরাধ শিকার করে সকলের সামনে দু’হাত জোড় করে ক্ষমা চান।
এ ব্যাপারে ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুস্পা বলেন ‘তদন্তের কারণে মাথা ঠিক না থাকায় সাংবাদিকদের সাথে একটু খারাপ ব্যবহার ও আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য দুঃখিত। তিনি আরও বলেন, এ জন্য সকলের সামনে আমি দু’হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply