নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে মেডিকেল কলেজের চার গ্রুপের প্রায় ১৬ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার ড্রপিং আজ। যা বেড়ে ১৮ কোটি টাকার কাজে পরিণত হবে। এ কাজে ২৬ জন ঠিকাদার সিডিউল কিনেছেন। তবে ঠিকমতো তা নির্ধারিত বাক্সে জমা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তারা সংশয়ে রয়েছেন।
অনেকে মনে করছেন, এ টেন্ডার বা ড্রপিং সবই লোক দেখানো হচ্ছে। যারা কাজ পাবেন তা প্রায় চূড়ান্ত। যে কারণে, সিডিউল কিনলেই সবাই জমা দিতে পারবেন না। নির্ধারিত চার গ্রুপে আটটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ সব কাজ ভাগ-বাটোয়ারা করে নেবেন। তবে, এ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, এ ধরনের কোনো আশংকার কোনো কারণ নেই। এ কাজ এতো টাকার নয়। কাজের সিডিউল যাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা নির্বিঘে জমা দিতে পারেন তার জন্য তিনি দফায় দফায় পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। যশোরের পুলিশ সুপারের সাথেও তার কথা হয়েছে।
এখানে শুধু সর্বনি¤œ দরই দেখা হবে না, সরবরাহকৃত পণ্যের মানও, অর্থাৎ সিডিউলে উল্লেখকৃত ব্রান্ডও মিলিয়ে কাজ বুঝে নেয়া হবে। সূত্র জানায়, যশোর মেডিকেল কলেজের চার গ্রুপের প্রায় ১৬ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে ইতিমধ্যেই মহল বিশেষে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারদের কেউ কেউ বলছেন, নির্ধারিত লোক যাতে নির্বিঘেœ কাজ পেতে পারেন তার নীলনকশা প্রায় চূড়ান্ত। এজন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ব্যতিত আর কেউ সিডিউল জমাই দিতে পারবেন না।
সেজন্য বল প্রয়োগ নীতি গ্রহণ করবে একটি মহল। এই মহলসহ প্রশাসন এবং মেডিকেল কলেজের কতিপয় কর্মচারীকে নানা প্রক্রিয়ায় ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে। এসব কিছু, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে এবং প্রশাসনের কাউকে কাউকে ম্যানেজ করতে এই মুহূর্তে যশোরে অবস্থান করছেন মনোরঞ্জন নামে এক ব্যক্তি। তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে বড় বড় টেন্ডার ‘ম্যানেজ প্রক্রিয়ায়’ সিদ্ধহস্ত বলে ঠিকাদারদের মধ্যে প্রচার রয়েছে। এই মনোরঞ্জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এবং ফরিদপুরে টেন্ডার কেলেংকারীর নেপথ্য নায়ক ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে বৈঠক করা ছাড়াও একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন।
ঈদের পরদিন একজন সরকারি কর্মকর্তার বাসভবনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে উক্ত মনোরঞ্জন বৈঠক করেন। যে বৈঠকে যশোর মেডিকেল কলেজের একজন প্রভাবশালী কর্মচারী এবং তার অতি গোপনে কাজ করে দেয়া একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞও ছিলেন। তবে এই গ্রুপটা এখনো পর্যন্ত যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করতে পারেনি বলে শোনা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ কাজের কোয়ালিটি চান বলে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন মর্মে একাধিক ঠিকাদারের দাবি।
এ প্রক্রিয়ায় চার গ্রুপের কাজে আট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল জমা দিতে পারবেন। বাকীদেরকে পথে-ঘাটে আটকে দেয়া হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যক্ষ দাবি করছেন, সব ঠিকাদার নির্বিঘেœই তাদের সিডিউল জমা দিতে পারবেন। এ ধরনের আশকা অহেতুক।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply