যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চীনা টেলিকম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড।যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সরকারি সংস্থাগুলো হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার করতে পারে না; সরকারি ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেই মামলাটি করা হয়েছে বলে খবর বিবিসির।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ে নিশ্চিত করেছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ করে দেওয়া এক আইনের একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।গত বছর মার্কিন কংগ্রেসে ওই অনুচ্ছেদসহ একটি বিল পাস হওয়ার পর আইনে পরিণত হয়।এক বিবৃতিতে হুয়াওয়ে বলেছে, “মার্কিন কংগ্রেস তাদের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।”
হুয়াওয়ের পণ্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে সরকারি সংস্থাগুলোর ওপর কোম্পানিটির পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হুয়াওয়েকে এড়িয়ে চলতে মিত্র দেশগুলোকেও প্ররোচিত করছে তারা।কয়েক মাসব্যাপী পুঙ্খানুপুঙ্খ আন্তর্জাতিক তদন্তের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর চীনা টেলিকম কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে এ আইনি পদক্ষেপ নিলো।হুয়াওয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান গুও পিং বলেছেন, “হুয়াওয়ের পণ্যের ওপর তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে মার্কিন কংগ্রেস বারবার ব্যর্থ হয়েছে। যথাযথ ও শেষ উপায় হিসেবেই আমরা আইনি এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।
“এই নিষেধাজ্ঞা শুধু বেআইনিই নয়, এটি অবাধ প্রতিযোগিতায় হুয়াওয়ের অংশগ্রহণকেও বাধাগ্রস্ত করছে, এর ফলে মার্কিন ভোক্তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি জেলা আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবরণে হুয়াওয়ে জানিয়েছে, তাদের কোম্পানিতে ‘চীনা সরকারের কোনো মালিকানা নেই’।
টেলিকম এই কোম্পানিটি নেটওয়ার্ক উপকরণ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোনের মতো বহুবিধ পণ্য তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহারের বিষয়ে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply