বাংলাদেশ ও ভারত সরকার রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর চালু করতে আগ্রহী। এ জন্য ভারত সরকার রাজশাহী থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং করতে চায়। এ মাসেই ভারতীয় একটি প্রতিনিধি দল সমীক্ষা করতে বাংলাদেশে আসার কথা। তবে এর আগেই রাজশাহীর পদ্মা নদীর ছয় কিলোমিটার ড্রেজিং শুরু হয়েছে। এতে নদীবন্দর চালু করা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার সোনাইকান্দি থেকে পূর্বে মহানগরীর পাঠানপাড়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হচ্ছে। ড্রেজিং করে নদীর ২৬ লাখ ঘনমিটার বালু খনন করে সরিয়ে দেয়া হবে। ফলে রাজশাহী শহরের কোল দিয়ে পদ্মার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। অবশ্য পদ্মা নদীর এই ছয় কিলোমিটার খননের প্রকল্প আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল।
গেল বছরের ৩ এপ্রিল পবার হাড়ুপুর এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এই নদী ড্রেজিংয়ের নিজের উদ্যোগের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পেরই একটি অংশ নদী ড্রেজিং। পুরো প্রকল্পের ব্যায় ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু নদী ড্রেজিংয়ের ব্যয় ২৮ কোটি টাকা। নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের পর ওই এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেয়ারও উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।’
নদী ড্রেজিংয়ের কাজের দায়িত্বে থাকা রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম. গোলাম সরওয়ার জানান, ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষে এ এলাকায় নদীর নাব্য অন্তত ৮ থেকে ১০ মাস থাকবে। তারা মধ্য জুন পর্যন্ত ড্রেজিং করবেন। এরমধ্যে যতটুকু পুরো কাজ শেষ না গেলে পরের শুকনো মৌসুমে ড্রেজিং শেষ হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধি দল রাজশাহী আসার কথা। তবে ঠিক কবে আসবেন তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। ভারত রাজশাহী থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত খনন করতে চায়। এরপর রাজশাহীতে নদীবন্দর করা হবে। এর আগেই পদ্মার ড্রেজিং কাজ শুরু হওয়ায় সেই কাজ ত্বরান্বিত হবে বলেও মনে করেন বিভাগীয় কমিশনার।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply