২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। চাঞ্চল্যকর এই রেজাউল করিম হত্যা মামলার রায় ছিল আজ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ২ আসামির ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন আদালত। রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। গত ১১ এপ্রিল মামলার যুক্তিতর্ক শেষে শিরীন কবিতা আখতার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ও তারেক হাসান এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আবদুল্লাহ, নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী, রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। শরিফুল ইসলাম এখনও পলাতক। আবদুস সাত্তার জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
নিহত শিক্ষক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি বলেন, ‘আমরা চাই আদালত যেন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেন। আশা করছি সুষ্ঠু বিচার পাব।’ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল গ্রেপ্তার না হওয়ার হতাশা প্রকাশ করে রিজওয়ানা বলেন, ‘শরিফুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। কিন্তু সে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমাদের খুব কষ্ট দেয়।’
মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। এদের মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply