একজন মুসলিমের জীবনের সফলতা মূল সূত্র হচ্ছে রাসূলের (সা.) জীবনী অধ্যয়ন করা ও অনুসরণ করা। তাই মুসলিম হিসাবে আমাদের উচিত হবে রাসূলের (সা.) জীবনী বেশি থেকে বেশি অধ্যয়ন করা এবং তাকে অনুসরণ করা।আমাদেরকে আরও বেশি প্রতিজ্ঞা করা দরকার যে, আমরা আমাদের নবী (সা.) জীবনী খুব ভালোভাবে অনুসরণ করব এবং তার জীবন সম্পর্কে আমরা ভালো করে জানবো।
নিন্মে রাসূল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় কিছু গুণ ও অভ্যাসের কথা উল্লেখ করা হলো-
১. রাসূল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় রঙ সবুজ। রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাসূলের (সা.) পছন্দের তালিকার প্রথমে থাকত সবুজ রঙ। তিনি এই রঙটিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন।
২. রাসূল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় খাবার ছিল মধু। মুধ খুব পছন্দ করতেন রাসূল (সা.)। মধুর মাঝে নানা রোগ নিরাময়েরও উপাদান বা শক্তি রয়েছে বলে রাসূলের (সা.) বাণীতে রয়েছে।
৩. রাসূল (সা.) ঠান্ডা কোমল পানীয় খেতে পছন্দ করতেন। পান করার ক্ষেত্রে রাসূলের (সা.) পছন্দ ছিল ঠান্ডা কোমল পানি।
৪. রাসূল (সা.)-এর থুথুতে ঔষধি গুণ ছিল। রাসূলের (সা.) থুথুতে ঔষধি গুণ থাকাতে সাহাবা আহমাইনরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন এবং মান্য করেছেন।
৫. রাসূল (সা.)-এর ঘাম থেকে সুগন্ধ বের হতো। এই বিষয়টিও সাহাবা আজমাইনদের কথার দ্বারা সত্যি বলে প্রমাণিত যে।
৬. একসাথে ১ লাখ ২৪ হাজার মুসল্লিদের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলার জন্য রাসূলের (সা.) কণ্ঠের জোর ছিল যথেষ্ঠ। তার গলার কণ্ঠস্বর ছিল খুবই গাঢ়।
৭. কথা বলার সময় নবী (সা.) কাউকে থামাতেন না। এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে কোনো বিষয়ে কথা বলার সময় রাসূলের (সা.) অভ্যাস ছিল তিনি কারো কথাকে থামিয়ে কথা বলা শুরু করতেন না। বরং কথা শেষ হলে কথা বলতেন।
৮. সকল নবীদের মধ্য থেকে তিনি ছিলেন সবচেয়ে সুদর্শন। আল্লাহ মহান পৃথিবীর বুকে যত জন নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন সব নবী-রাসূলদের মাঝে রাসূল (সা.) ছিলেন সবচেয়ে সুদর্শন।
৯. রাসূল (সা.) ডান পাশে কাত হয়ে তার মাথার নিচে ডান হাত রেখে ঘুমাতে পছন্দ করতেন। এটা ছিল তার ঘুমানোর সবচেয়ে পছন্দের পদ্ধতি। এভাবে ঘুমানো সুন্নাত।
১০. নবী (সা.) এর নিয়মিত স্বভাবের মধ্যে অন্যতম ছিল মিসওয়াক করা। তিনি নিয়মিত ভাবে মিসওয়াক করতেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply