গতকাল সোমবার টাঙ্গাইলে সেলিম মিয়া নামের রোজাদার এক রিকশাচালককে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের সেই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল ১৩ মে সোমবার রাতে আবুল খায়ের নামের ওই ব্যক্তিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, আহত রিকশাচালক সেলিম মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায়। আজ ১৪ মে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ সভাকক্ষে ওই রিকশাচালককে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন এসপি।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে রিকশাচালক সেলিম মিয়াকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বেধড়ক মারধর করেন ওই পুলিশ কনস্টেবল। পরে ফেসবুকে মারপিটের ভিডিওটি ভাইরাল হলে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এ ব্যাপারে রিকশাচালক সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি টাঙ্গাইল শহরের স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে নিরালা মোড়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মোড় ঘুরাচ্ছিলাম। তখন সেখানে পুলিশের একটি গাড়ি ওভারটেক করে আমার সামনে এসে থামে।’
‘ওই গাড়ি থেকে পুলিশের পোশাক পরা এক লোক এসে আমাকে বলে, তর গাড়ি চালানো রং হয়েছে। তুই মোড় ঘুরাইচ্ছোস, সিগলান মানস নাই, তুই মোড় ঘুরানোর সময় বাম হাত দেস নাই কেন?’
এ সময় রিকশাচালক আরও বলেন, ‘তখন আমি বলি, স্যার আমার ভুল হয়েছে। পরে গাড়ি থেকে নেমে ওই কনস্টেবল আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে মারে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘এ ঘটনায় রাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই রিকশাচালককে দেখভালের জন্য একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে যে কদিন রিকশাচালক কাজ না করতে পারবেন সে কদিন তার পরিবারের খরচ আমরা দেব।’
Leave a Reply