তখনো অনেক শঙ্কা। ভারত কি হেরেই যাবে? কোহলিদের কপালে চিন্তার ভাজ। গ্যালারিতে দর্শকদের মাথায় হাত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ১৬ রান। স্ট্রাইক প্রান্তে ইন-অর্ম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী। অপর প্রান্তে ইকরাম আলী খিল। বোলিংয়ে মোহাম্মদ শামি। প্রথম বলেই লং-অন দিয়ে চার মেরে দেন নবী। দ্বিতীয় বলটি ডট হয়। কিন্তু তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং-অনে পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ হন নবী। চতুর্থ বলে আফতাব আলমকে বোল্ড করেন শামি। পঞ্চম বলে মুজিব উর রহমানকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সেই সাথে ১১ রানে জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ভারতের দেয়া ২২৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ রান করতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের টাইট বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই রান করতে সংগ্রাম করছিল। দলীয় ২০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে আফগানদের। ২৪ বলে ১০ রান করে ফিরে যান ওপেনার জাজাই। দলীয় ৬৪ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার গুলবদিন নাইব। ৪২ বলে তার সংগ্রহ ২৭ রান।
দুই ওপেনারকে হারালেও দারুণ খেলছিল আফগানিস্তান। কিন্তু ২৯তম ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তার। বুমরাহর করা এই ওভারের পঞ্চম বলে রহমত শাহ ও ষষ্ঠ বলে হাশমতউল্লাহ শহীদি ফিরে যান। দলীয় ১৩০ রানে চাহালের বলে বোল্ড হন আসগার আফগান। উইকেট হারালেও পথেই ছিল আফগানরা। সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে ২১ রান করে আউট হন নাজিবউল্লাহ জাদরান। তিনি আউট হয়ে গেলে রশীদ খান নেমে ১৬ বলে ১৪ করে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান।
এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যে ভারত অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ৩৫৮ রান করেছিল তারাই আজ আফগানিস্তানের বোলিংয়ের সামনে ছিল ‘অসহায়’। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট ২২৪ রান সংগ্রহ করে তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন কেদার যাদব। আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী ২টি, রশীদ খান ১টি, রহমত শাহ ১টি,মুজিব উর রহমান ১টি, আফতাব আলম ১টি ও গুলবদিন নাইব ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply