নানা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ দেশে খুব সহজে পর্নোগ্রাফি দেখার সুযোগ দীর্ঘ দিন ছিল। বিধায় এ ধরনের নির্যাতন বেড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সরকার সম্প্রতি পর্ন সাইটগুলো অনেকাংশে Block করে দিতে সমর্থ হয়েছে। এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যারা শিক্ষার্থী বা অভিভাবক তারা অনেক সময় যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের কথাটি প্রকাশ্যে বলতে পারেন না। কারণ, সামাজিক লোকলজ্জা এবং ভবিষ্যত হয়রানির ভয়। সংখ্যালঘু হলে তো আরও ভয় ।
সে কারণে সরকার যদি প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করেন যেখানে শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকগণ পরিচয় গোপন রেখে নির্যাতনকারীর বিষয়ে লিখিত তথ্য পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে জানান, তাহলে এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।
অভিযোগ তদন্তকালে সামান্য প্রমাণ পেলেও অভিযুক্তকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। একই সাথে ঐ ব্যক্তি যেন আর কোনো দিন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির প্রার্থী হতে না পারে ভবিষ্যতে সে আইন পাস করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যেখানে শাস্তি নাই সেখানে অপরাধ বেশী হতে বাধ্য। শাস্তি প্রদানের পর যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তি বা আমলা অভিযুক্তের পক্ষে কোনো রূপ তদবির করবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে ।
মনে রাখতে হবে, ক্রিমিনালদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এ দেশে লক্ষ লক্ষ দায়িত্বশীল শিক্ষক কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষা প্রদান করে চলেছেন। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কারণ, দেশ গড়ার কারিগর তারাই তৈরি করছেন খেয়ে না খেয়ে। শুধুমাত্র আগাছাগুলো কেটে সাফ করতে হবে। না হলে ভালো শিক্ষকদের মানহানি হয়।
লেখক: কমিশনার, কর অঞ্চল-১৩
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply